ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বলেছেন, গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ ঘিরে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। যে পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছিল সেটি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। সার্বিকভাবে আর যেন পরিস্থিতির অবনতি না ঘটে সে কারণে কারফিউ বাড়ানো হয়েছে। তবে দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযান অব্যাহত থাকবে। গতকাল গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি। এ সময় ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিকসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার বলেন, হামলার এ ঘটনায় চারজন মারা গেছেন। ৪০-৪৫ জনের মতো আহত হয়েছেন। গোপালগঞ্জের মানুষ খুবই শান্তিপ্রিয় এবং আইনশৃঙ্খলার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। সাধারণ মানুষের আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। দুষ্কৃতকারী যাদের চিহ্নিত করতে পারব, তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসব। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত জেলায় কারফিউ থাকবে। ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে নতুন করে শুরু হওয়া কারফিউ পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। এর মাঝে শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। আবার ২টা থেকে শুরু হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে আলোচনা করে কারফিউর বিষয়ে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এনসিপি অভিযোগ করেছে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ হামলা করেছে, প্রশাসনের দৃষ্টিতে কারা হামলা করেছে জানতে চাইলে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, এনসিপির বিষয়টি তারা বলেছে। আইনের দৃষ্টিতে যারা আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটায় তাদের দৃষ্কৃতকারী মনে করি। এর মধ্যে কারও রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাহির থেকে গোপালগঞ্জে অনেকে এসেছিলেন, অনেকে এখনো বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করছেন এমন গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে। তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। কিছু ঘটনা ঘটে গেছে। বিষয়টি খুব পরিকল্পিতভাবে হয়েছে তেমনও নয়, বলেন তিনি।