বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারের ‘কলা’ দেখাচ্ছে। সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে একের পর এক আলোচনার আনুষ্ঠানিকতা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তাতে বাস্তব কোনো অগ্রগতি নেই। আলোচনা হচ্ছে, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। জনগণের আস্থার সংকট কাটিয়ে উঠতে হলে বাস্তব পদক্ষেপ প্রয়োজন, কেবল আনুষ্ঠানিকতা নয়। গতকাল দুপুরে রাজধানীতে কৃষক দলের আলোচনা সভায় এমন মন্তব্য করেন তিনি। কৃষক দল সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহদি আমিন, নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল, কৃষক দলের আবুল বাশার আখন্দ, নাছির হায়দার, জামাল উদ্দিন খান মিলন, মামুনুর রশীদ খান, এস এম ফয়সাল, আসলাম মিয়াসহ কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য দেন। আগামীকাল আলোচনার জন্য বিএনপিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আবারও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বলেও জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আগামীকাল (২ জুন) আবার আমাদের ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টা। কিন্তু ‘কাজের কোনো খবর নেই’। আবার ডেকেছেন, দ্বিতীয় পর্বের আলোচনার আবার শুভ উদ্বোধন হবে। কেন? উদ্বোধন কয়বার করতে হবে? তিনি বলেন, ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন দিতে হবে। এটা বাংলাদেশের মানুষের দাবি। কোনো কারণ নেই ডিসেম্বরের বাইরে নির্বাচন যাওয়ার। সংস্কার ও নির্বাচন চলমান প্রক্রিয়া। দুটোই একসঙ্গে চলতে পারে। সংবিধান সংস্কার কমিশন যদি নিজেদের মতো করে সংবিধান পরিবর্তন করতে চায়, তবে সে বিষয়ে জাতিকে একমত হতে হবে। বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, জোর করে চাপিয়ে দিলে সেটা গণতন্ত্র নয়, তা হবে আরেকটি বাকশাল।
সালাহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, সংস্কার হবে। সংস্কার আমাদের প্রধানতম এজেন্ডা। তার থেকে বেশি জরুরি ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে বিচার, যারা মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ছিল। সবাইকে কাঠগড়ায় নিয়ে আসা হবে, এটা আমাদের সর্বোচ্চ এজেন্ডা। কিন্তু নির্বাচন বাংলাদেশের মানুষকে এই ডিসেম্বরের মধ্যে দেবেন বলে যে আশ্বস্ত করেছিলেন আমাদের সামনে, পরবর্তীতে সরে গেলেন। সেটা ঠিক করেননি।
তিনি বলেন, নির্বাচন বিলম্বিত হওয়ার একটিও কারণ নেই আপনার সামনে, যুক্তি নেই। কেন আপনি ডিসেম্বরের বাইরে গিয়ে নির্বাচন দেবেন? সেটার পক্ষে কোনো যুক্তি নেই। কিন্তু শুধু বলেন ডিসেম্বর থেকে জুন।