আমি প্রতিমাসে দুই থেকে তিনবার মালদ্বীপের দক্ষিণের চারটি দ্বীপ—ভিলিগিলি, মা’মেনধু, নিলান্ধু এবং ধান্ধুতে কৃষকদের খোঁজখবর নিতে ও বিভিন্ন কার্যক্রম তদারকি করতে যেতাম। এভাবে নিয়মিত যাতায়াত করতে গিয়ে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য আমার নজরে আসে—প্রতি ২-৩ মাস অন্তর মালদ্বীপের রাজধানী মালে থেকে একটি মাঝারি আকারের সামরিক জাহাজ এই দ্বীপগুলোতে আগমন করত।
এই জাহাজে করে আনা হয় চাল, আটা বা ময়দা, মসুর ডাল, চিনি এবং সয়াবিন তেলসহ দ্বীপবাসীদের নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু খাদ্যসামগ্রী। জাহাজটি দ্বীপের জেটির পাশে এসে নোঙর করে, এবং সেনাবাহিনীর কর্মীরা পেশাদার দক্ষতায় সমস্ত মালামাল জেটিতে নামিয়ে ফেলেন। এরপর এগুলো প্রতিটি দ্বীপের দায়িত্বপ্রাপ্ত দ্বীপপ্রধানের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়।
এরপর দ্বীপ অফিসের একটি সংগঠিত টিম এই খাদ্যসামগ্রীগুলো দ্বীপের প্রতিটি পরিবারকে সমানভাবে ভাগ করে দেয়। পরিবারের আর্থিক অবস্থা বিবেচ্য নয়—ধনী-গরিব নির্বিশেষে সকলেই সমান পরিমাণে পণ্য পায়। বরাদ্দকৃত এই পণ্যসামগ্রী সাধারণত প্রতিটি পরিবারের সদস্যদের জন্য পর্যাপ্ত ছিল, অন্ততপক্ষে এক মাসের ব্যবহারের জন্য যথেষ্ট হতো।
জেটির পাশে খোলা একটি প্রশস্ত স্থানে প্রতিটি পরিবারের জন্য আলাদাভাবে পণ্যের স্তূপ তৈরি করে রাখা হয়। দৃশ্যটি অনেকটা আমাদের দেশের ঈদুল আজহার সময় গরুর মাংসের সমবন্টনের মতো—যেখানে প্রত্যেক পরিবার একটি করে ভাগ পায়। কেউ কারো ভাগে হস্তক্ষেপ করে না, কোনো হট্টগোল নেই, নেই কোনো অনিয়ম। কারণ, প্রতিটি ভাগ সমান এবং উন্মুক্ত স্থানে রাখা হয়—গুদামে নয়—ফলে সবকিছু স্বচ্ছ ও দৃশ্যমান থাকে।
সাধারণত নারীরাই বেশি আগ্রহ নিয়ে এই পণ্য নিতে আসতেন, অনেক সময় একসাথে দল বেঁধে আসতেন তারা। প্রতিটি পরিবার থেকে একজন নারী বা পুরুষ এসে ৫-৬ ধরনের খাদ্যসামগ্রীর একটি ভাগ নিয়ে যেতেন। যেহেতু প্রতিটি ভাগ একই রকম, তাই ভালো-মন্দ বাছাইয়েরও কোনো দরকার পড়ত না। নির্ধারিত একটি দিক থেকে কিউ ধরে সবাই হুইল ব্যারোতে করে নিজেদের ভাগ বাড়িতে নিয়ে যেতেন।
যদি কখনো পণ্য বিতরণের দিনে বৃষ্টি হতো, তবে বড় ত্রিপলের নিচে পণ্যগুলোকে সাময়িকভাবে নিরাপদে রাখা হতো। বৃষ্টি থামলে তবেই তা ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে দেওয়া হতো। এই নিয়ম সকলের জন্যই সমানভাবে প্রযোজ্য ছিল—সরকারি কর্মকর্তা, এমনকি দ্বীপপ্রধান এবং আতলপ্রধানও তাদের নিজ নিজ হুইল ব্যারো নিয়ে এসে একটিমাত্র ভাগ গ্রহণ করতেন। এই উপহার মালদ্বীয় নাগরিকদের জন্যই সীমাবদ্ধ ছিল।
তবে ভিলিগিলি দ্বীপে আমি একটি ব্যতিক্রম লক্ষ্য করি—দ্বীপের সবচেয়ে এক ধনী ব্যক্তি, যার কথা আপনারা আগেই জেনেছেন, কখনোই তার বরাদ্দকৃত খাদ্যসামগ্রী নেন না। দ্বীপ অফিসও এ বিষয়ে জানেন এবং তার জন্য কোনো প্রস্তুতি রাখেন না। এটি নিঃসন্দেহে তার পক্ষ থেকে একটি সংবেদনশীল সামাজিক বার্তা।
এই খাদ্যসামগ্রী সম্পূর্ণভাবে মালদ্বীপ সরকারের পক্ষ থেকে উপহারস্বরূপ প্রদান করা হয়। কেবল এই চারটি দ্বীপেই নয় বরং মালদ্বীপের প্রতিটি দ্বীপেই একইভাবে সরকারের পক্ষ থেকে এই মানবিক ও সমানাধিকার ভিত্তিক বিতরণ ব্যবস্থা বজায় রাখা হয়েছে।
এই অভিজ্ঞতা আমাকে গভীরভাবে মুগ্ধ করেছে। যেখানে আমাদের অনেক দেশে সরকারি সুবিধা বিতরণে অনিয়ম ও পক্ষপাতিত্ব দেখা যায়, সেখানে মালদ্বীপের মতো একটি ছোট দ্বীপরাষ্ট্রে এমন স্বচ্ছতা, সমতা এবং মর্যাদাপূর্ণ ব্যবস্থাপনা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। এটি ছিল সরকারের পক্ষ থেকে জনগণের প্রতি এক বিরল মানবিক উদ্যোগ, যা দীর্ঘদিন আমার স্মৃতিতে গেঁথে থাকবে।
শান্তির দ্বীপে আইন, বিশ্বাস ও সহনশীলতার সহাবস্থান
২০০৬ সালের দিকে গাফফু আলিফু (GA) অ্যাটলে পুলিশের উপস্থিতি ছিল সীমিত, তবে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো এখানেও ধাপে ধাপে তাদের পরিসর বিস্তৃত হচ্ছিল। মালদ্বীপ পুলিশ সার্ভিস ২০০৪ সালে একটি স্বতন্ত্র বাহিনী হিসেবে আত্মপ্রকাশের পর থেকেই দেশের প্রত্যন্ত দ্বীপগুলোতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ধীরে ধীরে অবকাঠামো গড়ে তুলতে থাকে। সেই ধারাবাহিকতায় GA অ্যাটলের প্রশাসনিক কেন্দ্র ভিলিগিলি দ্বীপে প্রতিষ্ঠিত হয় একটি পূর্ণাঙ্গ পুলিশ স্টেশন, যেখান থেকে গোটা অ্যাটলের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করা হতো। (সূত্র: উইকিপিডিয়া)
মাত্র ১০-১২ জন পুলিশ সদস্য নিয়ে গঠিত এই স্টেশন ছিল যেন এক বিশ্বাসভিত্তিক প্রশাসনিক কাঠামোর প্রতিচ্ছবি। মা’মেনধু, নিলান্ধু, ধান্ধু এবং কোলামাফুশির মতো দ্বীপগুলোতে তখনো স্থায়ী পুলিশ স্টেশন ছিল না, তবে ভিলিগিলি থেকে পুলিশ সদস্যরা প্রয়োজনে সেখানে গিয়ে দায়িত্ব পালন করতেন। বিশেষ করে কোলামাফুশির মতো কিছু দ্বীপে জনসংখ্যার ভিত্তিতে অস্থায়ী একটি ছোট পুলিশ পোস্টও ছিল বলে শুনেছি।
তবে সবচেয়ে বিস্ময়কর ও ব্যতিক্রমী অভিজ্ঞতা ছিল ভিলিগিলির পুলিশের কর্মকাঠামো ও সামাজিক বাস্তবতা। এই দ্বীপে আমি কখনোই কোনো পুলিশ সদস্যকে অস্ত্র বহন করতে দেখিনি। এমনকি গ্রেপ্তারকৃত কোনো ব্যক্তি চাইলেই থানার হেফাজত থেকে সাময়িকভাবে বের হয়ে পরিবারের সঙ্গে দেখা করে নিজ উদ্যোগে আবার থানায় ফিরে যেতেন। এক কথায়, এখানে পুলিশ ও জনগণের মধ্যে ছিল এক গভীর পারস্পরিক আস্থা। আমাদের উপমহাদেশের দৃষ্টিভঙ্গিতে যা সত্যিই অকল্পনীয়।
এই সমাজে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও পারস্পরিক সম্মান এতটাই গভীর ছিল যে, কেউ কাউকে অবহেলা করে কারও বাড়িতে ঢুকত না। প্রতিটি বাড়ির বাইরেই বিনা ভয়ে পড়ে থাকত জুতা, খেলনা, ব্যাগ বা অন্যান্য ব্যক্তিগত সামগ্রী—চুরির আশঙ্কা ছিলনা বললেই চলে।
এই প্রেক্ষাপটেই একদিন গাফফু ধালুর থিনাধু (Thinadhoo) দ্বীপের এক ভিন্নধর্মী মানুষের সঙ্গে ভিলিগিলিতে দেখা হয়েছিল। তিনি একসময় অপরাধে জড়িয়ে পড়ে আদালতের রায়ে দণ্ডিত হয়েছিলেন। এখন তিনি মুক্ত, তবে আদালতের নির্দেশে নিজ দ্বীপে ফিরতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে GA অ্যাটলের অন্য একটি দ্বীপে কাজ করছেন এবং সেখানেই বসবাস করছেন। তার কথাবার্তা থেকে অনুভব করলাম—তিনি অতীতের ভুল স্বীকার করেছেন, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং সমাজে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন।
এই পুরো অভিজ্ঞতা আমাকে বারবার ভাবতে বাধ্য করেছে—মালদ্বীপের মতো একটি শান্তিপূর্ণ দ্বীপরাষ্ট্রে কীভাবে আইন, মানবিকতা ও বিশ্বাসের এক অসাধারণ ভারসাম্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখানে শাস্তির মাঝেও রয়েছে মানবিক সহমর্মিতা, আবার নিরাপত্তা বজায় রাখতে অস্ত্র নয়, ভরসা ও সহনশীলতাই মুখ্য ভূমিকা পালন করে। এ যেন সত্যিকার অর্থে এক সমাজের আত্মিক উন্নতির প্রতিচ্ছবি।
একটি অচেনা উপহার: রমজানের সৌহার্দ্য
সেদিন ছিল এক সাধারণ সকাল, কিন্তু তার মাঝে লুকিয়ে ছিল এক অসাধারণ বিস্ময়। ঘুম থেকে উঠে দরজা খুলতেই চোখে পড়ল একটি মাঝারি আকারের সাদা বস্তা—আমাদের ভিলিগিলির বাসার প্রধান দরজার সামনে রাখা। কৌতূহলী হয়ে বস্তাটি খুলে দেখি, ভেতরে সুন্দর ও টাটকা খেজুর—প্রায় পাঁচ কেজির মতো। হালকা সুগন্ধ ছড়াচ্ছে খেজুরগুলো থেকে। এক মুহূর্তের জন্য স্তব্ধ হয়ে গেলাম—এত পরিমাণ খেজুর! কিন্তু কে রেখে গেল?
আমি তৎক্ষণাৎ আমাদের বাড়ির মালিককে ফোন করে জানতে চাইলাম, "এই খেজুরগুলো কি আপনি রেখেছেন? না কি কেউ রেখে গেছে?"
তিনি মুচকি হেসে বললেন, “না না, এটা একজন স্থানীয় লোকের উপহার। সে নিজের নাম প্রকাশ না করেই পুরো দ্বীপের অনেক বাসিন্দাকে এমন বস্তা উপহার দিয়েছেন। আমরাও পেয়েছি। রমজান মাস আসছে তো, সেই উপলক্ষেই সে এই খেজুর বিতরণ করেছে।”
পাশের এক প্রতিবেশীও জানালেন, “এই খেজুর এক ধরনের সাদকাহ বা গোপন দান। দ্বীপে এমন কিছু হৃদয়বান মানুষ আছেন, যারা নিজের পরিচয় না দিয়ে মানুষের মাঝে ভালোবাসা ছড়িয়ে দেন।” তারা আরও নিশ্চিত করলেন—“খেজুরগুলো ভালো ও নিরাপদ। নিশ্চিন্তে খেতে পারো।” টাটকা ও ঝলমলে খেজুরগুলো দেখে মেয়ে আর বউয়ের মুখে যেন আনন্দের আলো ফুটে উঠল।
আমার হৃদয়টা এক ধরনের অপার্থিব প্রশান্তিতে ভরে উঠল। এক অচেনা, অদেখা মানুষের এমন নিঃস্বার্থ ভালোবাসা ও ধর্মীয় সহানুভূতি—এ যেন রমজানের আসল সৌন্দর্য। আমি মনে মনে গভীর কৃতজ্ঞতায় বললাম, “সুকুরিয়া”—ধন্যবাদ সেই অজানা দানবীরকে, যার উপহার শুধু খেজুর নয় বরং এই বিদেশ বিভুঁইয়ে এক আত্মিক স্পর্শ, এক অভাবনীয় সৌহার্দ্যের অনুভব।
আযানের ছন্দে চলে সময়: মালদ্বীপে নামাজ ও জীবনের সুশৃঙ্খল ঐক্য
মালদ্বীপের নামাজপ্রীতির অনন্য সংস্কৃতি: পুরো মালদ্বীপ জুড়ে আজানের ধ্বনি যেন এক অদৃশ্য কমান্ডের মতো কাজ করত। মুহূর্তের মধ্যেই দোকানপাট, বাজার, অফিস—সবকিছু বন্ধ হয়ে যেত। না, কেউ তাড়া দিত না, জোর করত না; এটি ছিল স্বাভাবিক নিয়মের মতো। সবাই নিজ উদ্যোগে কাজ থামিয়ে নামাজের জন্য প্রস্তুত হতো। নামাজ শেষে আবারও দোকানের ঝাঁপ খুলত, যেন কিছুই থেমে ছিল না—কিন্তু মানুষের মুখে থাকত এক শান্তির আলো। এই দৃশ্যগুলো আমাকে বারবার মুগ্ধ করেছে।
ধর্মীয় দায়িত্বকে এমন সৌন্দর্য ও শৃঙ্খলার সঙ্গে পালন করার যে সংস্কৃতি, তা মালদ্বীপে দেখেই প্রথমবার গভীরভাবে অনুভব করি। এক অনন্য সামাজিক ছন্দ, যেখানে ধর্ম, দৈনন্দিনতা আর শ্রদ্ধাবোধ একসাথে মিশে গেছে নিখুঁতভাবে। শুক্রবারের জুমার নামাজের অভিজ্ঞতাও ছিল ব্যতিক্রমী।
মসজিদে কোনো স্থায়ী ইমামের ব্যবস্থা ছিল না। বরং প্রতিটি দ্বীপে স্থানীয় প্রশাসন—আইল্যান্ড অফিস—সরকারি কর্মীদের মধ্য থেকে প্রতি শুক্রবারের জন্য একজনকে ইমামের দায়িত্বে নিযুক্ত করত। সেই নিযুক্ত ব্যক্তি মসজিদের মিম্বরে উঠে মালদ্বীপ সরকারের ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে ফ্যাক্সে পাঠানো খুতবা পাঠ করতেন। খুতবার বাইরে তিনি কোনো অতিরিক্ত বক্তব্য দিতেন না। এই দায়িত্ব পালনের বিনিময়ে তিনি নির্ধারিত সম্মানীও পেতেন। পরবর্তী শুক্রবারে আবার অন্য একজনের দায়িত্ব পড়ত। মসজিদের ভেতরে বা বাইরে কোথাও কোনো দানবাক্সও ছিল না।
এই নিয়মতান্ত্রিক ও প্রশাসননির্ভর ধর্মচর্চা মালদ্বীপের সমাজব্যবস্থার এক অনন্য দৃষ্টান্ত। এটি আমাকে নতুনভাবে ভাবতে শেখায়—ধর্ম কেবল ব্যক্তিগত বিশ্বাসের বিষয় নয়, বরং সুশৃঙ্খল সামাজিক অনুশীলনও হতে পারে। এই অধ্যায়টি আমার কর্মজীবনের এক অনন্য মোড় হয়ে উঠেছিল—যেখানে দায়িত্ববোধ, নিঃসঙ্গতা, পেশাদারিত্ব আর মানুষের গল্প একসাথে মিলেমিশে গিয়েছিল সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো। প্রতিটি দিন ছিল এক নতুন যাত্রা, প্রতিটি মুখ একেকটি গল্প। কখনো কষ্ট, কখনো করুণা, আবার কখনো নিঃশব্দ আনন্দ—সব মিলিয়ে এক গভীর আত্ম-অন্বেষণের সময়।
আজও যখন সেই দ্বীপগুলোর কথা মনে পড়ে, ঢেউয়ের মৃদু শব্দ এবং নামাজ শেষে মানুষের মুখে ফুটে থাকা শান্তি আমাকে মনে করিয়ে দেয়—জীবনের সত্যিকারের নাবিক হওয়ার মানে হলো নিঃসঙ্গতার মাঝেও অন্যের সুখ খুঁজে পাওয়া, দায়িত্বের সাথে সহানুভূতি এবং মানুষের সঙ্গে আন্তরিক সংযোগ বজায় রাখা। সেই দ্বীপগুলো আমাকে শিখিয়েছে, বাস্তব জীবনের শিক্ষা কখনো কেবল পাঠ্যপুস্তক বা নিয়মে সীমাবদ্ধ থাকে না; বরং মানুষের চোখে, তাদের স্বাভাবিক আচার-ব্যবহার এবং শান্তির মাঝে, প্রতিটি ক্ষুদ্র মুহূর্তেই নিহিত থাকে জীবনের গভীরতম শিক্ষা।
লেখক: উন্নয়নকর্মী। ইমেইল: [email protected]
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল