বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘সরকারকে হতে হবে মানুষের কাছে দায়বদ্ধ, জবাবদিহিমূলক। বারবার জনগণের দিকে তাকাতে হবে, জনগণের কাছে যেতে হবে। আর এ জবাবদিহির ক্ষেত্রে মিডিয়ার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদিও মিডিয়া সরাসরি জবাবদিহিতা আদায় করে না, তবুও নির্বাচিত সংসদের মতো মিডিয়াও একটি গুরুত্বপূর্ণ জবাবদিহিমূলক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে। তারাও জনগণের কাছে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে।’ গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আবু সালেহ আকন এতে সভাপতিত্ব করেন এবং সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
আমীর খসরু বলেন, গণতন্ত্র এবং মিডিয়া হাতে হাত মিলিয়ে চলে। গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের যত বেশি অনুপস্থিতি থাকবে, মিডিয়ার ওপর চাপ তত বাড়তে থাকবে। মিডিয়া তার ভূমিকা সঠিকভাবে পালন করতে না পারলে দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তন করতে পারবে না। অগণতান্ত্রিকভাবে যে কেউ থাকুক, তারা একটা পর্যায় গিয়ে ক্ষমতা অব্যাহত রাখার জন্য মিডিয়া গ্রুপকে চাপে রাখবে। সুতরাং আমাদের ঐক্য হবে গণতন্ত্রের জন্য। যার মধ্যে মিডিয়ার স্বাধীনতা অন্তর্নিহিত আছে। তিনি বলেন, আমরা একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনতে চাই। এটি যত বেশি বিঘ্নিত হবে, যত দেরি হবে, তত বেশি সংকট বাড়তে থাকবে। তিনি আরও বলেন, ১৬ বছরের আন্দোলনে আমরা ক্রমান্বয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। এই আন্দোলনটা ছিল বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আন্দোলন। এটা ছিল মূলত সাংবিধানিক, গণতান্ত্রিক এবং রাজনৈতিক অধিকার ফিরে পাওয়ার আন্দোলন। আমরা কিন্তু সে জায়গায় এখনো যেতে পারিনি। পরিষ্কারভাবে একটি জিনিস আমাদের সামনে থাকতে হবে যা সাংবাদিকদের জন্য আরও গুরুত্বপূর্ণ।