এক ট্রলারে ৬৫ মণ ইলিশ নিয়ে তীরে ফিরলো জেলারা। রবিবার দুপুরে গভীর সমুদ্র থেকে এ ট্রলারটি আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে আসে।
এরপর মেসার্স খান ফিস নামে একটি আড়তে মাছ নিলামের মাধ্যমে ৩৯ লাখ ৬০ হাজার ১৪০ টাকায় বিক্রি করেন।
স্থানীয়রা জানান, এফবি সাদিয়-২ নামে মাছ ধরা ট্রলার ২৩ জেলে নিয়ে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যায়। তারা সমুদ্রে জাল ফেলে এ মাছগুলো ধরে। দীর্ঘদিন পর জালে ইলিশ ধরা পাড়ায় জেলে সংশ্লিষ্ট মৎস্য ব্যবসায়িরাও খুশি।
ট্রলারের মাঝি শাহাবুদ্দিন বলেন, ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞার পরে দফায় দফায় বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়েছি। এই প্রথম ভালো পরিমাণে মাছ পেয়েছি। মাছগুলো আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে নিয়ে এসে ৩টি আকারে আলাদা করা হয়। ৯০০ গ্রাম ১কেজি ওজনের মাছ মণ প্রতি ৯৫ হাজার টাকা, ৬০০ গ্রাম থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের মাছ প্রতি মণ ৭০ হাজার টাকা, ৪০০ গ্রাম থেকে ৫০০ গ্রাম ওজনের প্রতি মণ মাছ ৫৬ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ১ লাখ ১৭ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়।
খান ফিসের ম্যানেজার মো. সাগর ইসলাম বলেন, অনেক দিন ধরে সাগরে খুব কম মাছ ধরা পড়ছে। বৈরী আবহাওয়ায় জেলেরা দিশোহারা হয়ে পড়ে। সাগরে এভাবে মাছ ধরা পারলে জেলেরা লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবে।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, দীর্ঘদিন নিষেধাজ্ঞা ও বৈরী আবহাওয়ায় জেলেরা লোকসানে জর্জরিত হয়েছে। কিছুদিন ধরে ভালো পরিমাণ মাছ পেয়েছে। এটা নিষেধাজ্ঞার সুফলও বলা যায়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সামনে বেশ ভালো পরিমাণ মাছ পাবে বলে আশা করা যায়।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন