জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে সংস্কার প্রতিবেদনের ওপর মতামত জানাতে অতিরিক্ত আরও তিন দিন সময় নিচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। নবগঠিত দলটি কমিশনের কাছে তাদের মতামত জমা দেবে ২৩ মার্চ। এরপর অংশ নেবে সংলাপে। সংবিধান সংস্কারের ক্ষেত্রে গণপরিষদ এবং অন্যান্য সংস্কার বাস্তবায়নে নির্বাচনের আগে অধ্যাদেশ জারির বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে দলটি। দলীয় সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সংস্কার প্রতিবেদনের সুপারিশগুলো পর্যালোচনার কাজ চলছে। ২৩ মার্চ জমা দেব। তিনি বলেন, ‘সাংবিধানিক সংস্কার ছাড়া অন্যান্য প্রশাসনিক সংস্কার আমরা বর্তমান সরকারের অধীনে অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়নের বিষয়ে জোর দিচ্ছি। আর সংবিধান সংস্কারের জন্য গণপরিষদ নির্বাচনের বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।’
এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত বলেন, ‘সংস্কার প্রতিবেদনের জন্য একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি খসড়া প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে। কোন সংস্কারের বিষয়ে দলের পক্ষ থেকে কোন অবস্থান গ্রহণ করা হয়েছে তা গণমাধ্যমকে অবহিত করা হবে।’ সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, দুদক এবং পুলিশ সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোর মত এক করার লক্ষ্যে ১২ ফেব্রুয়ারি ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। পুলিশ ছাড়া বাকি পাঁচ কমিশনের সুপারিশের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নেওয়া হচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কারের সুপারিশের বিষয়ে আলাদা মতামত জানাচ্ছে। কতটুকু সংস্কার, কীভাবে হবে এ বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য হবে দলগুলোর মতামতে। প্রথমে দলগুলোর সঙ্গে আলাদাভাবে এবং পরে একসঙ্গে বৈঠক হবে। যেসব বিষয়ে একমত হবে, তা বাস্তবায়নে হবে ‘জুলাই সনদ’। এর মাধ্যমে দলগুলো অঙ্গীকার করবে, নির্বাচনে যে দলই জয়ী হোক; জুলাই সনদ অনুযায়ী সংস্কার হবে। এদিকে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংস্কার প্রতিবেদন চূড়ান্ত করতে গত রাতে একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এনসিপির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম এবং সদস্যসচিব আখতার হোসেনের অনুমোদনে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি ‘সংস্কারবিষয়ক সমন্বয় কমিটি’ গঠন করা হয়েছে। কমিটির কোঅর্ডিনেটর হলেন সারোয়ার তুষার। বাকিরা হলেন যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন, জাবেদ রাসিন, যুগ্ম সদস্যসচিব সালেহ উদ্দিন সিফাত ও যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আরমান হোসাইন।