জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা না করলে ইতিহাস ভিন্ন হতো

কাজী মনিরুজ্জামান

প্রিন্ট ভার্সন

জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা না করলে ইতিহাস ভিন্ন হতো

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধে দেশের পক্ষে দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে স্বাধীনতা ঘোষণা করে মুক্তিযুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন না করলে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভিন্ন হতো। সে সময় জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামের কালুর ঘাট বেতার কেন্দ্রে ইংরেজিতে ‘আমি মেজর জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের পক্ষে স্বাধীনতা ঘোষণা করছি’- এ ঘোষণা শোনার পর মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করে দেশ স্বাধীন করি। যুদ্ধ-পরবর্তীতে জিয়াউর রহমানের আদর্শের সৈনিক হিসেবে অদ্যাবধি তাঁর দলের একজন কর্মী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি, এটাই আমার বড় পাওনা। গত সাড়ে ১৫ বছরে ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচার হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন, সংগ্রাম, শত শত মামলা-হামলার বিরুদ্ধে রূপগঞ্জের বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংগঠিত করে অধ্যাবধি টিকে আছি। গত সাড়ে ১৫ বছরে ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচার হাসিনা গুম, খুন, রাজনৈতিক নিপীড়ন, হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। বৈষম্যরিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে বিএনপি একাত্মতা ঘোষণার পর বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আমার সমর্থন রয়েছে। রাজনৈতিক দল গঠন দেশের প্রতিটি মানুষের নাগরিক অধিকার। নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি দেশের কল্যাণে রাজনীতি করবে বলে আশা করি এবং নীতির আদর্শ থেকে তারা যেন বিচ্যুত না হয়। বিগত পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরকার রাজনৈতিক, সামাজিক, প্রশাসনিক সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে এবং নিজেরাও ধ্বংস হয়েছে। রাজনৈতিক দল হিসেবে আমি মনে করি আওয়ামী লীগ ইতিহাসের জঘন্যতম ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা এ দেশের হাজার হাজার মানুষ খুন করে দেশ থেকে পালিয়েছে, জুলুম-অত্যাচারের মাধ্যমে এ দেশের মানুষকে কষ্ট দিয়েছে, আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জাতীয় পার্টিও দলটির দোসর হিসেবে রাজনীতির মাঠে দেউলিয়া। সে কারণে আমি মনে করি এ মুহূর্তে বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও জনসমর্থিত দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। দলটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করবে এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তার যোগ্য উত্তরসূরি তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশে সুষ্ঠু গণতন্ত্র ফিরে আসবে।