খসড়া তালিকায় বাংলাদেশের নদনদীর সংখ্যা আরও বেড়ে ১ হাজার ২৯৪টিতে দাঁড়িয়েছে। তালিকাটি প্রণয়ন করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন। গত বছরের ডিসেম্বরে খসড়া তালিকায় এই সংখ্যা ছিল ১ হাজার ১৫৬টি। এর আগে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশে মোট ১ হাজার আটটি নদনদীর তালিকা প্রকাশ করে নদী রক্ষা কমিশন। ২০১৩ সালে নদী রক্ষা কমিশনের এক সমীক্ষায় নদীর সংখ্যা উঠে আসে ৮৫৭টি। এদিকে বাংলাদেশ যৌথ নদী কমিশনের ওয়েবসাইটে বলা আছে, বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রায় ৪০৫টি নদী প্রবাহিত হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে নদনদীর সংখ্যা নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরের কয়েক দশকের বিতর্ক এবার অবসান হবে।
গত বৃহস্পতিবার নদী বিশেষজ্ঞ, নদী কর্মী ও বিশেষজ্ঞদের মতামতের জন্য পাউবো নতুন খসড়া তালিকাটি তাদের ওয়েবসাইটে দিয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই নতুন করে নদনদীর সংখ্যা নির্ণয় করার নির্দেশ দেয়। পাউবোর মহাপরিচালক এ কে এম তাহমিদুল ইসলাম বলেছেন, খসড়া তালিকায় তারা ১ হাজার ২৯৪টি নদনদী পেয়েছেন। সবার মতামত নিয়ে চূড়ান্ত তালিকা করতে খসড়াটি ওয়েবসাইটে দিয়েছেন। তিনি জানান, পাউবো ও নদী রক্ষা কমিশনের যৌথ উদ্যোগে তালিকাটি করা হয়েছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে নৌপরিবহন উপদেষ্টা ও পানিসম্পদ উপদেষ্টা যৌথভাবে একটি সভার আয়োজন করে। সে সভায় দুই মাসের মধ্যে নদনদীর পূর্ণাঙ্গ একটি তালিকা তৈরি করতে পাউবো ও নদী রক্ষা কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়। বৈঠকে নদনদীকে অবৈধ দখলমুক্ত করার জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করে একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরিরও সিদ্ধান্ত হয়।