নওগাঁ জেলার মাঠে মাঠে এখন সবুজের সমারোহ। মাঠজুড়ে রয়েছে আগাম শীতের সবজি আলু, শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, বেগুন, লালশাক, পালংশাক। আগাম সবজির দাম পাওয়ার আশায় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খেত পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভালো ফলনের আশা করছেন। চলতি মৌসুমে নওগাঁয় ২ হাজার ৭৫৫ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের সবজি চাষ হয়েছে।
সদর উপজেলার বিভিন্ন মাঠে চাষ হয়েছে হরেক রকম শীতের সবজি। কৃষকরা কেউ খেত পরিচর্যা করছেন, কেউ প্রয়োগ করছেন সার-বালাইনাশক। সদর উপজেলার বর্ষাইল গ্রামের সবজি চাষি মাহাফুজ আলম দিদার বলেন, তিনি এক বিঘা জমিতে ফুলকপি ও মুলা চাষ করেছেন। প্রতি বিঘায় খরচ হয়েছে ১০-১২ হাজার টাকা। সব খরচ বাদ দিয়ে তিনি লাখ টাকার সবজি বিক্রি করতে পারবেন।
বদলগাছির বালুভরা গ্রামের কোরবান আলী জানান, সব জমি আগে চাষ করে রেখেছি। সাম্প্রতিক বৃষ্টিতে প্রায় সব জমি বীজ বপনের উপযুক্ত হয়েছে। তেমন সেচ দিতে হয়নি। ভালো দামের আশায় আগাম শীতের সবজি চাষ করেছি। বর্তমানে বাজারে দাম ভালো। কিছু লালশাক ও ফুলকপি বিক্রি করেছি। সদর উপজেলার কীর্তিপুর গ্রামের আগাম সবজি চাষি সুলতানুল আলম মিলন বলেন, শীত মৌসুমের জন্য চাষ করা সবজির ভালো দাম পাওয়া যায়। পরিচর্যা করতে হয় বেশি। পোকামাকড়ের আক্রমণ হয়। বৃষ্টি হলে চারা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তবু ঝুঁকি নিয়ে ভালো দামের আশায় আগাম সবজি চাষ করি। অসময়ে বাজারে এর চাহিদা থাকে অনেক। বেশি দামে বিক্রি করা যায়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক খলিলুর রহমান বলেন, বৃষ্টির পর থেকে কৃষক আগাম শীতের সবজির আবাদ শুরু করে, যা এরই মধ্যে বাজারে উঠতে শুরু করেছে। দাম পাচ্ছে ভালো। তিনি বলেন, আগাম সবজি চাষে ঝুঁকি বেশি থাকে। এ জন্য কৃষকদের সঠিক সময়ে এবং সঠিক পদ্ধতিতে সুষম সার, জৈব সার এবং কীটনাশকের সঠিক ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়।