নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষ ও গোলাগুলি হয়েছে। উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের খালিয়ারচর এলাকায় গতকাল এ ঘটনা ঘটে। ছয়জন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন ৩০ জন। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও আশপাশের বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি কবির হোসেনের সঙ্গে ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি ফকির জহিরুল ইসলামের বিরোধ চলছে। সম্প্রতি জহিরুল ইসলামের চাচা রিপন হত্যার ঘটনায় ১৭ জনের নামে মামলা করা হয়। এ মামলার আসামিরা জামিন এলাকায় প্রবেশ করতে চাইলে সংঘর্ষ বাধে। ঘটে গুলাগুলির ঘটনাও। এলাকার লোকজন আতঙ্কে ছুটাছুটি করতে থাকে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আড়াইহাজার থানার ওসি খন্দকার নাসির উদ্দিন বলেন, পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ঘটনাস্থল ও আসপাশে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে বিএনপির ৩১ দফার সমর্থনে আয়োজিত মিছিলের আগে যাওয়া নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। উপজেলা সদরের প্রেস ক্লাব মোড়ে দোয়ারাবাজার বিএনপির সাবেক সভাপতি শামসুল হক নমু এবং বর্তমান আহ্বায়ক আলতাফুর রহমান খসরুর সমর্থকদের মধ্যে গতকাল এ ঘটনা ঘটে। নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষর্শী সূত্র জানায়, শনিবার দোয়ারাবাজার উপজেলার সদরে ৩১ দফা কর্মসূচির লিফলেট বিতরণের আয়োজন করেন জেলা বিএনপি আহ্বায়ক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন। দুপুরে সাবেক সভাপতি ও বর্তমান আহ্বায়কের অনুসারীদের দুটি মিছিল উপজেলা সদরে প্রবেশের সময় আগে যাওয়া নিয়ে ঠেলাঠেলি শুরু হয়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। দোয়ারাবাজার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শামসুদ্দিন খান জানান, পরে পুলিশ ও নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।