শোবিজ তারকাদের জীবনযাপন, শখ, পড়াশোনা ও নানারকম সুপ্ত প্রতিভা নিয়ে আগ্রহের কমতি নেই ভক্তদের। পেশা হিসেবে নির্দিষ্ট সেক্টরে কাজ করলেও অনেক সময় নেশা বা শখ হিসেবে অনেক বিষয়ে তারকাদের পারদর্শিতা চোখে পড়ে। অনেক শিল্পী একই সঙ্গে বনে যান কণ্ঠশিল্পী, চিত্রশিল্পী, নৃত্যশিল্পী, লেখক, তবলাবাদক, কবি, ফটোগ্রাফার বা আবৃত্তিকার। এমন কিছু অনন্য প্রতিভাধর তারকাকে নিয়ে লিখেছেন- পান্থ আফজাল
আফজাল হোসেন : একাধারে তিনি একজন অভিনেতা, নির্মাতা ও চিত্রশিল্পী। টেলিফিল্ম, ওয়েব সিরিজ ও চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি নির্মাণও করছেন। তাঁর শখ ছবি আঁকা, ফটোগ্রাফি, প্রচ্ছদ আঁকা ও লেখালেখি।
বিপাশা হায়াত : অভিনেত্রী হলেও আঁকাআঁকিটা বিপাশা হায়াত কখনো ছেড়ে দেননি। প্রচ্ছদশিল্পী, আবৃত্তিকার, স্ক্রিপ্ট রাইটার, ডিজাইনার ও কণ্ঠশিল্পী হিসেবেও তিনি সমাদৃত।
জেমস (নগরবাউল) : গানের মানুষ হিসেবে নগরবাউল জেমসকে সবাই চিনলেও পোর্ট্রেট ফটোগ্রাফিতে তাঁর সুনাম রয়েছে। শখের বশেই তিনি ছবি তোলেন। অনেক তারকার মুখাবয়ব তাঁর ক্যামেরার ক্লিকে বন্দি হয়েছে।
মোশাররফ করিম : বহুমাত্রিক অভিনেতা মোশাররফ করিম চরিত্রের প্রয়োজনে গান করেন। তিনি কিছু গান, কবিতা ও নাটক লিখেছেন। তাঁর আরেকটি বড় গুণ, তিনি ভালো তবলা বাজাতে পারেন। উপস্থাপনায়ও সিদ্ধহস্ত।
রুমানা রশীদ ঈশিতা : অভিনেত্রী রুমানা রশীদ ঈশিতা গানের পাশাপাশি অবসর সময়ে ছবি আঁকেন, লেখালেখিও করেন। তিনি একজন নৃত্যশিল্পী এবং উপস্থাপিকাও।
ফজলুর রহমান বাবু : পেশাদার অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু। গায়ক হিসেবেও দারুণ জনপ্রিয় তিনি।
চঞ্চল চৌধুরী : চঞ্চল চৌধুরী গানেও দারুণ প্রশংসিত। ভালো আবৃত্তি ও ছবি আঁকতে পারেন।
নুসরাত ফারিয়া মাজহার : আরজে, মডেল ও নায়িকা ফারিয়া সবার কাছে এখন গায়িকা হিসেবেও সুপরিচিত।
জয়া আহসান : জয়া ‘বিনিসুতোয়’ রবীন্দ্রসংগীত গেয়েছেন। লেখালেখি-আবৃত্তিতেও সপ্রতিভ।
সিয়াম আহমেদ : অভিনয়ে দক্ষতার সঙ্গে সিয়াম ভালো গানের শ্রোতা, খালি গলায় গান করেন মাঝে মাঝে।
পূজা চেরী : পূজা শুধু অভিনয়ে নন, নাচেও ভালো পারদর্শী। তিনি মিমিক্রি করতে পারেন।
কাজী নওশাবা : অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি একজন পাপেটিয়ার। তিনি সিসিমপুরের ইকরি মিকরি চরিত্রে কণ্ঠদান ও পাপেটটি পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সিসিমপুরের ভূতো পাপেট চরিত্রেও তিনি অভিনয় করেন। অভিনয়ের মানুষ নওশাবার গানের ভুবনেও আসার ইচ্ছা।
জাহিদ হাসান : ’৯০ দশকের জনপ্রিয় অভিনেতা-নাট্য পরিচালক জাহিদ হাসান নাটকে মাঝে মাঝে গান গেয়ে থাকেন। সেটা অবশ্য শখের বশেই।
মিথিলা : গায়িকা, উপস্থাপিকা ও অভিনেত্রী মিথিলা। তাঁর একক ও তাহসানের সঙ্গে গাওয়া অনেক গান তুমুল জনপ্রিয়তা পায়।
জাকিয়া বারী মম : অভিনয়ের পাশাপাশি ভালো নৃত্যশিল্পী হিসেবে পরিচিত মম। তিনি লেখালেখিও করেন। ভালো গানও গাইতে পারেন।
সাদিয়া জাহান প্রভা : প্রভা ভালো অভিনয়ের পাশাপাশি গানও গাইতে পারেন। মেকআপ বিষয়ে তাঁর জানাশোনাও আছে।
তাসনিয়া ফারিণ : অভিনয়ের পাশাপাশি ভালো গাইতে পারেন। এরই মধ্যে তাহসানের সঙ্গে গেয়েছেন রঙে রঙে রঙিন হবো গানটি। তিনি বেশ কিছু বাংলা ও ইংরেজি গানও কাভার করেছেন।
নায়ক আলমগীর : অভিনয়ে যেমন পারদর্শী ঠিক গায়কির প্রতি তাঁর রয়েছে ঝোঁক। ‘আগুনের আলো’ ছবিতে প্লেব্যাকের মাধ্যমেই কণ্ঠশিল্পী হিসেবে প্রথম আত্মপ্রকাশ করেন এ অভিনেতা।
জাফর ইকবাল : প্রয়াত গায়ক-নায়ক জাফর ইকবাল ১৯৬৬ সালে ‘রোলিং স্টোন’ নামের একটি ব্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। নায়ক হওয়ার পর জাফর ইকবাল প্রথম প্লেব্যাক করেন ‘পিচঢালা পথ’ ছবিতে। এ নায়কের গাওয়া ‘বদনাম’ ছবির ‘হয় যদি বদনাম হোক আরও’ এবং ‘সুখে থাকো ও আমার নন্দিনী’ গানটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়।
সালমান শাহ : বিটিভির ছোটদের অনুষ্ঠানে গেয়েছিলেন। তিনি গিটার বাজাতে পারেন। খালি গলায় গেয়েছেন বিটিভির নাটক ‘ইতিকথা’য়। ‘তুমি আমার জীবনের এক স্বপ্ন যেন’ শিরোনামের গানটি তাঁর প্রথম প্লেব্যাকের অভিজ্ঞতা।
শাকিব খান : শাকিব খানও প্লেব্যাকে নাম লিখিয়েছেন। মালেক আফসারীর ‘মনের জ্বালা’ ছবিতে প্রথম প্লেব্যাক করেন। ‘আমি চোখ তুলে তাকালেই’ গানটি গাইতে খুব বেশি সময় নেননি। পরে ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনী ২’-তেও প্লেব্যাক করেন। গানটির নাম ছিল, ‘ও প্রিয় আমি তোমার হতে চাই।’
টেলি সামাদ : টেলি সামাদ অভিনয়শিল্পী হিসেবে জনপ্রিয় হলেও পঞ্চাশের অধিক সিনেমায় গান গেয়েছেন। একটি অ্যালবামও প্রকাশিত হয়েছিল তার।