বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহাপরাক্রমশালী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অনেক একতরফা ও বিতর্কিত সিদ্ধান্তে বিভিন্ন দেশকে নানাভাবে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। তেমনই একটা সিদ্ধান্ত তার পাল্টা শুল্কনীতি। বাংলাদেশ, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপানসহ মোট ১৪টি দেশের ওপর নতুন করে শুল্কহার নির্ধারণের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সে দেশের বাণিজ্য প্রতিনিধির দপ্তরে গতকাল বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের বৈঠক পূর্ব-নির্ধারিত ছিল। ঢাকা আশা করছিল, সেখানে যৌক্তিক শুল্কহার নির্ধারণের সিদ্ধান্তে উপনীত হবে দুই দেশ। কিন্তু তার আগেই বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে দিল ট্রাম্প প্রশাসন। এ শুল্ক সব খাতভিত্তিক শুল্কের অতিরিক্ত হিসেবে প্রযোজ্য হবে। আগামী ১ আগস্ট থেকেই দেশটিতে পণ্য রপ্তানিতে এ বর্ধিত শুল্ক গুনতে হবে। এতে রপ্তানি খাতে যে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে, তা বলতে বিরাট বিশেষজ্ঞ হওয়ার দরকার হয় না। বড় ঝুঁকিতে পড়তে পারে দেশের ৮ শতাধিক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান। স্বভাবতই রপ্তানিকারকরা উদ্বিগ্ন। তা ছাড়া গত এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্র পাল্টা শুল্ক আরোপের পর দীর্ঘ তিন মাসে তাদের সঙ্গে সরকার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ও বাণিজ্যিক দরকষাকষিতে কোনো ফল লাভ করতে না পারায় তারা আশাহতও। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্কের বিষয়টি শুধু শুল্কে সীমাবদ্ধ নয়, এর সঙ্গে দুই দেশের বাণিজ্যনীতিসহ বহু বিষয় জড়িত। দেশের ব্যবসায়ী সমাজ আশঙ্কা করছে, প্রথম পর্যায়ে সরকারের চেষ্টার পর এখন, দ্বিতীয় দফার আলোচনায়ও সমঝোতা না হলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে আমাদের প্রায় সাড়ে ৭ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হুমকিতে পড়বে। মূলত এ বাজার হারানোর শঙ্কা ঝুলছে উদ্যত খড়গের মতো। অথচ সরকারের দিক থেকে কিছু শক্ত ও সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া হলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য-ঘাটতি অনেকটাই কমানো সম্ভব। আমরা সে দেশ থেকে ব্যাপকভাবে তুলা আমদানির উদ্যোগ নিতে পারি। পাশাপাশি এলএনজি ও ইস্পাতসহ আরও অনেক পণ্য আমদানি বাড়াতে পারি। তাতে বাণিজ্য-ঘাটতি কমবে এবং আমাদের ওপর থেকে শুল্কহার হ্রাস দাবির যৌক্তিক প্রেক্ষাপট তৈরি হবে। বলাবাহুল্য, অন্তর্বর্তী সরকার ও রপ্তানিকারকদের কপালে গভীর চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা সিদ্ধান্তের বর্ধিত শুল্কহার। নির্ধারিত বৈঠকে প্রত্যাশিত পর্যায়ে শুল্ক হ্রাস না হলে, বিষয়টিকে শুধু বাণিজ্য নয়, রাজনৈতিক কূটনীতির দিক থেকে বিবেচনায় নিতে হবে। প্রয়োজনে বারবার আলোচনা-বৈঠকের মাধ্যমে ন্যায্যতার ভিত্তিতে সুরাহার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
শিরোনাম
- ঈশ্বরদীতে গাড়ি চাপায় যুবক নিহত
- ১৮ নভেম্বর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে ইসি
- চুয়াডাঙ্গা পাসপোর্ট অফিসের কার্যক্রম স্থবির, ভোগান্তি চরমে
- ফিলিপাইনে দুর্নীতিবিরোধী বিক্ষোভে আটক দুই শতাধিক
- যুক্তরাষ্ট্রের স্কুলে সেলফোন নিষিদ্ধ, সুফল দেখছেন অভিভাবক-শিক্ষকরা
- এবার ট্রাম্পকে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়ে হামাসের চিঠি, দাবি রিপোর্টে
- রাশিয়ায় জলবায়ু সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক অলিম্পিয়াডে স্বর্ণপদক জয় তাসিনের
- আমিরাতে ভিসা বন্ধের বিভ্রান্তিকর তথ্য থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান দূতাবাসের
- হবিগঞ্জে গভীর নলকূপ স্থাপন প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ
- অক্টোবরের মধ্যে সম্পূরক বৃত্তি না দিলে কঠোর হুশিয়ারি ছাত্রদলের
- গাজার দায়িত্ব নেবে বিশেষ বাহিনী: ফ্রান্স
- সংসদে সংরক্ষিত আসনের দাবিতে নাইজেরীয় নারীদের বিক্ষোভ
- বিসিবি সভাপতির চিঠি নিয়ে এবার হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত
- রাকসু নির্বাচন ১৬ অক্টোবর, সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান শিবিরের
- বিশ্বসেরা গবেষক তালিকায় আইইউবিএটির ৭ শিক্ষক
- শিবচরে বৃদ্ধার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
- বগুড়ায় মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বিএনপির মতবিনিময়
- ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে আরও ছয় দেশ, দাবি রিপোর্টে
- চট্টগ্রামে ইয়াবাসহ যুবক গ্রেপ্তার
- পরিদর্শক থেকে এএসপি হলেন ৩৯ পুলিশ কর্মকর্তা