জাফরুল্লাহ চৌধুরী একজন বাংলাদেশি চিকিৎসক, জনস্বাস্থ্য ও সমাজসেবক, সক্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং মুক্তিযোদ্ধা। তিনি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৮২ সালে বাংলাদেশের ‘জাতীয় ওষুধ নীতি’ ঘোষণার ক্ষেত্রে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২৭ ডিসেম্বর ১৯৪১ সালে চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার কোয়েপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার শিক্ষক ছিলেন বিপ্লবী মাস্টারদা সূর্য সেন। বাবা হুমায়ুন মোর্শেদ চৌধুরী কলকাতা ও ঢাকার কোতোয়ালি থানার ওসি ছিলেন। মা হাছিনা বেগম চৌধুরী গৃহিণী। পিতামাতার দশজন সন্তানের মধ্যে তিনি সবার বড়। ভাইবোনেরা সবাই উচ্চশিক্ষিত। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ১৯৭৭ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন। এ ছাড়াও তিনি ফিলিপাইন থেকে র্যামন ম্যাগসাইসাই (১৯৮৫) এবং সুইডেন থেকে বিকল্প নোবেল হিসেবে পরিচিত রাইট লাভলিহুড (১৯৯২), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বার্কলি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ইন্টারন্যাশনাল হেলথ হিরো’ (২০০২) এবং মানবতার সেবার জন্য কানাডা থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি পেয়েছেন। ২০২১ সালে আহমদ শরীফ স্মারক পুরস্কার পান।