বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) সহ-সভাপতি রিপনুল হাসানকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। ফলে সোনা-রুপার অলংকার বেচাবিক্রি হয়নি। এখন অনির্দিষ্টকালের জন্য জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান বন্ধের কার্যক্রম স্থগিত করেছে বাজুস। আগামীকাল শুক্রবার থেকে জুয়েলারির সকল প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাতে বাজুস থেকে পাঠানো এক বার্তায় জানানো হয়, বাজুসের সহ-সভাপতি মো. রিপনুল হাসানের ন্যায়বিচারের প্রত্যাশায় জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কর্মসূচি স্থগিত করা হলো।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাজুসের সহ-সভাপতি মো. রিপনুল হাসানকে ভুয়া ও বানোয়াট রাজনৈতিক পদ দেখিয়ে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলায় গত বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়, রাজধানীর তাঁতীবাজারে নিজ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে ডিবি পুলিশের সদস্যরা গ্রেপ্তার করেন। পুলিশ ওই মামলায় যে রাজনৈতিক পরিচয় উল্লেখ করেছেন, রিপনুল হাসান কখনোই সেই পদে ছিলেন না। এমনকি কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে সে জড়িত নয় এবং কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্যপদ কোনো দিনও রিপনুল হাসান গ্রহণ করেননি।
বাজুসের সহ-সভাপতি মো. রিপনুল হাসানকে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলায় গ্রেপ্তারের কারণে সারাদেশের জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকরা ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত। এই নিরাপরাধ ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছেন সারাদেশের জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা। তার ন্যায়বিচার ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আজ সারা দেশের সকল জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে দিনভর প্রতিবাদ সমাবেশ, মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়েছে। সারা দেশের ব্যবসায়ীদের এই ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ কর্মসূচি এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। সেজন্য বাজুস কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে সকল জুয়েলারি মালিকদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে।
এমন পরিস্থিতিতে বাজুসের সহ-সভাপতি মো. রিপনুল হাসানকে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা থেকে অব্যাহতি ও ন্যায়বিচারের প্রত্যাশায় মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা, অর্থ উপদেষ্টা, বাণিজ্য উপদেষ্টা, শিল্প উপদেষ্টা, আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে বাজুস। পাশাপাশি আসন্ন ঈদুল আজহা ও সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ন্যায়বিচার পাওয়ার প্রত্যাশায় অনির্দিষ্টকালের বন্ধের কর্মসূচি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাজুস। এই কারণে জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের মালিকদের আগামীকাল ৩০ মে, ২০২৫ থেকে সকল জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে। তবে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা থেকে রিপনুল হাসানের নাম প্রত্যাহার ও ন্যায়বিচার না পেলে পরবর্তীতে কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবে বাজুস।
বিডি প্রতিদিন/আশিক