২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের সব রাজনৈতিক শক্তির ঐকমত্যের ভিত্তিতে ঐতিহাসিক জুলাই সনদ প্রণীত হওয়া উচিত। এতে নিবন্ধিত এবং অনিবন্ধিত সকল দলের মতামত নেওয়া না হলে এর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে ভবিষ্যতে প্রশ্ন উঠতে পারে।
শুক্রবার জনতা পার্টি বাংলাদেশ কার্যালয়ে রাজনৈতিক দলসমূহের মধ্যে বিকল্প রাজনৈতিক জোট গঠনের ধারাবাহিক মতবিনিময়ের এক অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এ মত প্রকাশ করেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মুসলীম লীগের সভাপতি মহসীন রশিদ। সঞ্চালনা করেন জনতা পার্টি বাংলাদেশ এর নির্বাহী চেয়ারম্যান গোলাম সারোয়ার মিলন।
নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন, ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ করার লক্ষ্যে যাতে সকল রাজনৈতিক দল অংশ নিতে পারে, সেজন্য নির্বাচন কমিশনকে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজ এবং উদার করতে হবে। জুলাই বিপ্লবের পর এক-এগারোর সরকার প্রণীত নিবন্ধন বিধি কার্যকর থাকতে পারে না। নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষতার প্রমাণও দিতে হবে।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মুসলীম লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের, জাগপা সভাপতি মহিউদ্দিন বাবলু,
জনতা পার্টি বাংলাদেশের ভাইস চেয়ারম্যান এবিএম ওয়ালিউর রহমান খান, মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্, এম এ ইউসুফ, বাংলাদেশ জনতা ফ্রন্টের চেয়ারম্যান আবু আহাদ আল মামুন (দ্বীপু মীর), জনতা পার্টি বাংলাদেশের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক বশির আহমেদ, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. শাহ্ মো. সোলায়মান প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট মহসিন রশিদ বলেন, বাংলাদেশে এখন একটি পরিণত রাজনৈতিক জোট গড়ে তোলা অপরিহার্য। ইসলামী মূল্যবোধ সামনে রেখে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ,সুশাসন ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজের কথা গুরুত্ব দিয়ে বলতে হবে। ভূ-রাজনীতির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক সম্বন্ধে মানুষকে সুস্পষ্ট ধারণা দিতে হবে।
গোলাম সারোয়ার মিলন বলেন, শুধু কয়েকটি দলকে নিয়ে ঐকমত্য কমিশন জুলাই সনদ চূড়ান্ত করলে তা বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। এই রাজনৈতিক অঙ্গীকারের দলিলে সর্বজনীনতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তা নাহলে অভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তিগুলোর মধ্যেই এ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মহাসচিব প্রশ্ন করেন, ঐকমত্য কমিশনের ডাকা ৩১ দলের মধ্যে নিবন্ধিত দল কয়টি?নিবন্ধন হচ্ছে নির্বাচনে অংশগ্রহণের ছাড়পত্র। কিন্তু মতামত প্রদানের ছাড়পত্র নয়।
শওকত মাহমুদ উল্লেখ করেন, নির্বাচন কমিশন শুধু বড় ও ধনী দলগুলোর স্বার্থ দেখছে। মহিউদ্দিন বাবলু বলেন, আমরা একটি পরিণত জোট গঠন করতে আগ্রহী। দ্বীপু মীর বলেন, ঐক্যবদ্ধভাবে দাবি আদায়ে জোটের বিকল্প নেই।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ