ভারতের নির্মিত ফারাক্কা বাঁধের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে রাজবাড়ীর পাংশায় পদ্মা ব্যারেজ নির্মাণ করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
শনিবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে শহরের কনভেনশন সেন্টারে পদ্মা ব্যারেজ ও দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটির আয়োজিত সেমিনারে তিনি একথা বলেন।
মনির হায়দার বলেন, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে নির্মাণ করা ফারাক্কা বাঁধ ভেঙে ফেলা যাবে না। ফারাক্কা বাঁধের পানি নিয়ে ভারতকে বাধ্য করাও সম্ভব নয়। তবে অচিরেই পাংশার হাবাসপুরের উদ্দেশে ‘ফারাক্কা লং মার্চ’ করবো। সেই লং মার্চে লাখো মানুষ অংশগ্রহণ করবে।
সেমিনারে ‘ফারাক্কা ব্যারেজ ও বাংলাদেশের সংকট’ এবং ‘পদ্মা ব্যারেজ ও বাংলাদেশর সম্ভাবনা’। ‘দ্বিতীয় পদ্মা সেতু ও আগামীর সম্ভাবনা’ ও ‘আলোকিত রাজবাড়ী কেমন চাই বিষয় উপস্থাপন করা হয়।’
এসময় ফারাক্কা ব্যারেজ ও বাংলাদেশের সংকট’ এবং ‘পদ্মা ব্যারেজ ও বাংলাদেশের সম্ভাবনা’ নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক অতিরিক্ত পরিচালক প্রকৌশলী মো. আব্দুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া, ‘দ্বিতীয় পদ্মা সেতু ও আগামীর সম্ভাবনা’ নিয়ে প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন শামীম বিয়ষবস্তু উপস্থাপন করেন।
এছাড়া ‘আলোকিত রাজবাড়ী-কেমন রাজবাড়ী চাই’ বিষয়ে পদ্মা ব্যারেজ ও দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অর্ণব নেওয়াজ মাহমুদ হৃষিত ও সাদাত খান অ্যানিমেশন প্রদর্শন করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম, সাবেক রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ, পদ্মা ব্যারেজ ও দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন কমিটির জাতীয় কমিটির মহাসচিব অবসারপ্রাপ্ত বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আবু ওহাব মো. হাফীজুল হক, সাবেক রাষ্ট্রদূত খোন্দকার আব্দুস সাত্তার, অবসারপ্রাপ্ত বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মোহসীন, দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন কমিটির উপদেষ্টা অবসারপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম মতিউর রহমান, পদ্মা ব্যারেজ ও দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটির প্রধান সমন্বয়ক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জালাল, সাংবাদিক মেহেদী হাসান পলাশ বক্তব্য রাখেন।
বিডি প্রতিদিন/কামাল