নবম পে–স্কেল বাস্তবায়নে বৈষম্য ও ‘প্রহসন’ অভিযোগ করে মানববন্ধন করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ১১ থেকে ২০তম গ্রেডভুক্ত কর্মচারীরা।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় প্রশাসন ভবন চত্বরে বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশনের আহ্বানে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তরের অর্ধশতাধিক কর্মচারী মানববন্ধনে অংশ নেন।
কর্মচারীরা জানান, আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে বৈষম্য দূর করে নবম পে–স্কেল বাস্তবায়ন করা না হলে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় অচল করে দেওয়ার আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবেন। মানববন্ধন শেষে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত ১৫ বছরে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে কর্মচারীরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বিগত ১১ বছরে নতুন কোনো পে–স্কেল হয়নি। নবম পে–স্কেল তাদের ‘ন্যূনতম অধিকার’, কিন্তু তা বাস্তবায়নে ‘সুকৌশলে তালবাহানা’ করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশনের সদস্য আব্দুর রহিম বলেন, ‘পে–কমিশন গঠন করার সময় কোনো সমস্যা ছিল না, এখন কেন নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন হচ্ছে? যখন স্বপ্ন দেখিয়েছেন, তখন বাস্তবায়ন করতেই হবে। এটি দেশের সব কর্মচারীর অধিকার।’
সংগঠনটির যুগ্ম সম্পাদক আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের ২০ লাখ কর্মকর্তা–কর্মচারী চাইলে একযোগে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অচল করে দিতে পারেন। ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নবম পে–স্কেল বাস্তবায়ন না হলে আমরা ৬৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহায়ক ও টেকনিক্যাল কর্মচারীদের নিয়ে কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।’
বিডি-প্রতিদিন/সুজন