ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে পুলিশ হেফাজতে যুবক আব্দুল্লাহর (২৭) মৃত্যুর ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) ওবায়দুর রহমানকে প্রধান ও জেলা পুলিশের (ডিএসবি) পরিদর্শক মাহিদুল ইসলামকে সদস্য সচিব করে কমিটি গঠন করা হয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, তাৎক্ষণিক সুরতহাল প্রতিবেদনে মৃত ওই যুবকের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রিন্স সরকার বলেন, নিহতের কপাল ও হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর উপজেলার ছলিমগঞ্জ ইউনিয়নের বাড়াইল গ্রামের একটি বাড়িতে ৫ লাখ টাকা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন্দেহভাজন হিসেবে সলিমগঞ্জ বাজার থেকে পার্শ্ববর্তী বাঞ্ছারাপুরের যুবক আব্দুল্লাহকে আটক করে মারধর করে নবীনগরের বাড়াইলের লোকজন। প্রচন্ড মারধরের পর গুরুতর আহত অবস্থায় সলিমগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে আবদুল্লাকে সোপর্দ করা হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ফাঁড়িতে সোপর্দ করার পর পুলিশ তাকে অজ্ঞাত কারণে চারদিন আটকে রেখে নির্যাতন চালায়। এতে সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৮ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ সুপার (এসপি) এহতেশামুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে তার নির্দেশে সলিমগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মো. মহিউদ্দিনকে সাসপেন্ড ও গ্রেপ্তার করে সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই সাকিল মিয়া বাদী হয়ে সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) নবীনগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় ছলিমগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মো. মহিমউদ্দিনকে প্রধান আসামিসহ বাড়াইল গ্রামের তবি মিয়া, আলামিন, আয়নাল হক এ চারজনের নাম উল্লেখসহ আরও ২০/২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার এহতেশামুল হক বলেন, এ ঘটনায় ইতোমধ্যে মামলা নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত এসআই মহিমউদ্দিনকে সাময়িক বহিষ্কার ও গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্তে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম