পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত খাগড়াছড়ি-ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়কে সোমবার দুপুর ১২টা থেকে অবরোধ শিথিল করা হয়েছে। সকাল ১০টার দিকে এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ‘জুম্ম-ছাত্র জনতা’র মিডিয়া সেল।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, খাগড়াছড়ি-ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়কে দুপুর ১২টার পর থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অবরোধ শিথিল করা হয়েছে। তবে অন্যান্য সড়কে অবরোধ চলবে। লাশ সৎকার ও আহত সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য অবরোধ শিথিল করা হয়েছে।
খাগড়াছড়ি শান্তি পরিবহনের মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক রোকন উদ্দীন জানান, প্রশাসনের নিরাপত্তা দেওয়ার পাশাপাশি অবরোধকারীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুপুর ১২টা থেকে অবরোধ শিথিলের ঘোষণা দিয়েছে। তাই ঢাকা-চট্টগ্রামগামী টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। টিকিট কেনার জন্য যাত্রীরা হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন।
এদিকে, গতকালের সহিংসতার পর খাগড়াছড়ি ও গুইমারা উপজেলায় ১৪৪ ধারা বহাল রেখেছে স্থানীয় প্রশাসন। শহর ও শহরতলীর সড়কগুলো ফাঁকা পড়ে আছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সাধারণ মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিভিন্ন মহলের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এখনো ১৪৪ ধারা বহাল রয়েছে।
তিনি জানান, আটকে পড়া পণ্যবাহী ট্রাকগুলো গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ অবস্থায় দিনমজুর শ্রেণির মানুষ ও পরিবহন শ্রমিকরা বেকার সময় পার করছেন।
অপরদিকে, টানা তৃতীয় দিনের মতো খাগড়াছড়ি জেলায় সড়ক অবরোধ চলছে। চলাচল করছে না অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার সব সড়কে যানবাহন। নতুন করে সোমবার তিন পার্বত্য জেলায় সড়ক অবরোধ ডাকা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ