কক্সবাজারের টেকনাফে গহীন পাহাড়ে যৌথ অভিযান চালিয়ে নারী ও শিশুসহ ৮৪ জন ভিকটিম উদ্ধার করেছে বিজিবি ও র্যাব। একই অভিযানে অস্ত্র ও গুলিসহ তিন মানবপাচারকারীকে আটক করা হয়েছে।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়ন হলরুমে আয়োজিত যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান (পিএসসি)।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে বাহারছড়া ইউনিয়নের কচ্ছপিয়া পাহাড়ে অভিযান চালানো হয়। অভিযান পরিচালনা করে টেকনাফ ২ বিজিবি ও র্যাব-১৫ এর একটি চৌকস দল।
অভিযানের শুরুতে প্রথম ধাপে ১ পাচারকারীকে আটক এবং ৪ জন ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়। তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে চক্রের মূল আস্তানা চিহ্নিত করে রাজাছড়া পাহাড়ে চালানো হয় রুদ্ধশ্বাস চিরুনি অভিযান।
চার ধাপে অভিযান চালিয়ে ১ম ধাপে ১৪ জন, ২য় ধাপে ১৩ জন, ৩য় ধাপে ৫১ জন এবং ৪র্থ ধাপে ৬জন ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়।
বিজিবি জানায়, অভিযানের সময় পাচারকারীরা গুলিবর্ষণ করে ও পাহাড়ের চূড়া থেকে কয়েকজন জিম্মিকে নিচে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করে। তবে যৌথ বাহিনী কৌশলে তাদের নিয়ন্ত্রণে আনে।
অভিযান চালিয়ে বাহারছড়া উত্তর কচ্ছপিয়ার সালামত উল্লাহর পুত্র আব্দুল্লাহ (২১), টেকনাফ সদরের বটতলী রাজারছড়ার আবুল হোসেনের পুত্র সাইফুল ইসলাম (২০) এবং মো. ফিরোজের পুত্র মো. ইব্রাহিম (২০) কে আটক করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে বুলেট ভর্তি ১টি ওয়ান শুটার গান ও ১টি একনলা বন্দুক, ১টি বিদেশি পিস্তল, ২টি দেশীয় রামদা ও ১টি চাকু উদ্ধার করে।
যৌথ অভিযানে বিভিন্ন পাহাড় থেকে ৮৪ জন ভিকটিম উদ্ধারের ঘটনায় বাহারছড়া ৯নং ওয়ার্ডের নোয়াখালী পাড়া এলাকার মৃত মীর কাসেমের পুত্র রেজাউল করিম (৩৭), মমতাজ সদরের পুত্র আয়াতুল তনজিদ (৩০) কে পলাতক আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আটক তিন পাচারকারীর বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে স্থানীয় থানায় পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ