ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার কাটাখালী নদীর ভাঙনে মাতুভূঞা ইউনিয়নের করিম উল্যাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের ভবন বিলীন হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। গ্রামীণ সড়ক ধসে যাওয়ার পর এবার বিদ্যালয় ভবন নদীর কবলে পড়ায় আতঙ্কে রয়েছেন হাজারো বাসিন্দা, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক।
সম্প্রতি টানা ভারী বৃষ্টিতে বিদ্যালয়ের মূল ভবনের মাটি ধুয়ে গেছে। উত্তর পাশের অংশে ফাটল দেখা দেওয়ায় ভবনটি যেকোনো সময় নদীতে ধসে পড়তে পারে। এতে কয়েকটি শ্রেণির পাঠদান অনিশ্চিত হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম বাছির ভূঞা বলেন, “ভবনটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যেকোনো সময় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।”
বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র আদনান বিন আলম বলেন, “আমাদের গ্রুপ বিষয়গুলোর ক্লাস ওই ভবনে হয়। আমরা ভয়ে থাকি, হঠাৎ ধসে পড়লে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।”
অভিভাবক মিনাল দাস গুপ্ত জানান, “ভাঙনের কারণে আতঙ্কে দিন কাটছে। পুরো ভবন ধসে গেলে সন্তানদের নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।”
স্থানীয়রা বলছেন, কয়েক বছর আগে জেলা পরিষদ থেকে গার্ডওয়াল নির্মাণ করা হলেও সাম্প্রতিক প্রবল বর্ষণে তা ভেসে গেছে।
বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মাঈন উদ্দিন আজাদ বলেন, “ভবনটি আর পাঠদানের উপযোগী নয়। নদী ভাঙনরোধে দ্রুত টেকসই ব্যবস্থা নিতে হবে, নইলে ভবনটি রক্ষা করা যাবে না।”
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইসমাইল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সেখানে পাঠদান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. ফুয়াদ হাসান জানান, নদী ভাঙনরোধে বিশ্বব্যাংকের একটি প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। কাজ শুরু হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহীদুল ইসলাম বলেন, “বিদ্যালয় ভবন রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।”
বিডি প্রতিদিন/হিমেল