নওগাঁর ঐতিহাসিক পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার যাদুঘরে সংরক্ষণের জন্য হস্তান্তর করা হলো প্রায় ১৮৫ বছর আগের একটি বন মহিষের শিংসহ মাথার করোটি। বৃহস্পতিবার দুপুরে নওগাঁ শহরের কালিতলা মহল্লার অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ফজলুল হক যাদুঘরের কাস্টোডিয়ান ফজলুল করিমের হাতে এই দুর্লভ ঐতিহাসিক নিদর্শনটি তুলে দেন।
অধ্যাপক ফজলুল হক জানান, এই বন মহিষটি শিকার করেছিলেন তৎকালীন জমিদার রাজা রায় বাহাদুর হরনাথ রায় চৌধুরী, যিনি সিলেটে জমিদারি ক্রয়ের পর সেখানে পরিদর্শনে গিয়ে বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর সঙ্গে এই বন মহিষটিও শিকার করেন। এরপর সিলেট থেকে ফিরে আসার সময় শিকার করা অন্যান্য প্রাণীর মাথার করোটির সঙ্গে বন মহিষটির মাথার করোটিও দুবলহাটির রাজপ্রাসাদে নিয়ে আসেন তিনি।
পরবর্তীতে ১৮৯১ সালে রাজা হরনাথ রায় চৌধুরীর মৃত্যু হলে তাঁর পুত্র রাজা কৃঙ্করীনাথ রায় চৌধুরী জমিদারির উত্তরাধিকার হন। সেই সময় তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু শিকারপুরের শৈলকোপা গ্রামের জোতদার সাকিম উদ্দীন শেখকে বন মহিষটির মাথার করোটিটি উপহার হিসেবে দেন তিনি। সাকিম উদ্দীনের মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র আব্দুল গনি শেখ নিদর্শনটি সংরক্ষণ করে আসছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর অধ্যাপক ফজলুল হক পরিবারের ঐতিহ্য হিসেবে এটি সংরক্ষণ করেন।
পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার যাদুঘরের কাস্টোডিয়ান ফজলুল করিম আরজু বলেন, ‘‘এই বন মহিষের করোটিটি আমাদের জন্য একটি ঐতিহাসিক সম্পদ। এটি যাদুঘরে সংরক্ষণ করে দর্শনার্থীদের দেখার জন্য উন্মুক্ত করা হবে। এর মাধ্যমে আমাদের অতীত ইতিহাস জানার সুযোগ তৈরি হবে।’’ তিনি আরও জানান, কারও কাছে যদি এ ধরনের ঐতিহাসিক নিদর্শন থাকে, তাহলে তা পাহাড়পুর যাদুঘরে হস্তান্তর করার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।
বিডি প্রতিদিন/আশিক