ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাশরুম চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন ও দারিদ্র হ্রাসকরণ প্রকল্পের আওতায় মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বিকেলে পৌর এলাকার পুনিয়াউটে এ মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। মাঠ দিবসে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ উইং) ড. মোহাম্মদ কাজী মজিবুর রহমান।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক ড. মোস্তফা এমরান হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) এম. এম. রকীব উর রাজা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার মুন্সী তোফায়েল হোসেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক (শস্য) মইনুল হক সরকার, জাতীয় নাগরিক কমিটি (এনসিপি) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার প্রধান সমন্বয়কারী আজিজুর রহমান লিটন, জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মোবারক হোসেন আকন্দ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, জেলা বীজ ও প্রত্যয়ণ অফিসার এ. কে. এম শহিদুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা কৃষি অফিসার শাহানা বেগম। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন মাশারুম চাষী ও উদ্যোক্তা রাজিয়া খানম।
বক্তারা বলেন, মাশরুম একটি আদর্শ খাবার। নিয়মিত মাশরুম খেলে পুষ্টিহীনতা দূর হবে। শীতকালে বেশি মাশরুম চাষ হয়। মাশরুম কোলেস্টেরলমুক্ত, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ কমাতে, ডায়াবেটিস ও মেদ কমাতে সাহায্য করে। মাশরুম রক্তশূন্যতা দূরীকরণ, ব্রেইনের বিকাশ, বাত ও মেরুদন্ডের ব্যথা, চুল পড়া ও চুল পাকা বন্ধ করে। নিয়মিত মাশরুম খেলে কিডনী ভালো থাকে, লিভার ভালো থাকে। মাশরুম হোপাটাইটিস-বি ও জন্ডিসের বেশ উপকারী। মাশরুম একটা ছত্রাক। সকল কাজের কাজী হলো মাশরুম। তাই সকলকে বেশি করে মাশরুম খেতে হবে। মাশরুম খুব সহজ পদ্ধতিতে দুই ভাবে তৈরি করা যায়। কৃষি বিভাগ ফুটবল টিমের মতো কাজ করছে। ২০৫০ সালের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পার মাধ্যমে দেশ কৃষিতে এগিয়ে যাবে। সবাই একসাথে মিলে কাজ করলে আমরা সহজেই কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছাতে পারবো। মাশরুম চাষী ও উদ্যোক্তা রাজিয়া খানম জানান, সাভারে মাশরুম উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে ১০ দিনের ট্রেনিং নিয়েছি। মাঠ দিবসে প্রায় শতাধিক কৃষক-কৃষানী উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/এএম