কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে উফশি আমন ধানের চাষাবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে দুই হাজার ২০০ জন প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষককে ৫ কেজি করে বীজ এবং ২০ কেজি করে রাসায়নিক সার বিনামূল্যে প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে বীজ ও সার প্রদান অনু্ষ্ঠানের আয়োজন করে উপজেলা কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তর। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাম।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রাইসুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনু্ষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান, সাংবাদিক কে এম আর শাহিন প্রমুখ।
জানা গেছে, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ১৪ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ধানের চাষ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রণোদনা কর্মসূচির দুই হাজার ২০০ জন প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষককে বিনামূল্যে বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে। প্রত্যেক কৃষককে প্রতি এক বিঘা জমির জন্য ৫ কেজি করে বীজ এবং ১০ কেজি করে এমওপি ও ডিএপি সার প্রদান করা হয়েছে। এতে অনেক খুশি কৃষকরা।
সদকী ইউনিয়নের মালিয়াট গ্রামের বয়োজ্যেষ্ঠ কৃষক জামাল শেখ বলেন, মাঠে পাঁচ বিঘা কৃষি জমি আছে। ধান চাষ করব। এবারই প্রথম বিনা পয়সার বীজ ও সার পেয়েছি। চাষে খরচ কমবে এবার। এতে খুব খুশি।
কয়া ইউনিয়নের কৃষক ইউনুস আলী বলেন, বিনামূল্যে বীজ ও সার পেয়ে কৃষকের উপকার হয়েছে। সরকারি প্রণোদনা পেয়ে সবাই খুব খুশি। ভবিষ্যতে প্রণোদনার পরিমাণ বাড়ানোর দাবি জানান তিনি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রাইসুল ইসলাম বলেন, আমন ধানের চাষাবাদ এবং উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে দুই হাজার ২০০ জন কৃষককে পাঁচ কেজি করে বীজ এবং ১০ কেজি করে এমওপি ও ডিএপি সার প্রদান করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাম বলেন, উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে সরকার কৃষকদের জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা করেছে। প্রণোদনার উপকরণ কোনো কৃষক ব্যবহার না করে বিক্রি করলে বা নষ্ট করলে ভবিষ্যতে তাদের কর্মসূচি থেকে বাদ দেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ