পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে মেঘভাঙা বৃষ্টির ফলে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৫০ জন ছাড়িয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২৮ জন। শুক্রবার পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সোয়াত উপত্যকার প্রধান শহর মিঙ্গোরার একটি এলাকায় আকস্মিক বন্যার পানি।
শনিবার দেশটির কর্মকর্তাদের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে জিও নিউজ। প্রতিবেদন মতে, অধিকাংশ মৃত্যুই ঘটেছে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুখোয়া প্রদেশে। এই অঞ্চলে ২০০ জনের বেশি প্রাণ হারিয়েছেন। আজাদ কাশ্মীরে ১৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আর গিলগিট বালতিস্তানে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি খুব নাজুক হওয়ায় মৃত্যু আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পাকিস্তানের প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, প্রাণহানির পাশাপাশি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে। অন্তত ১১৬টি বাড়ি ভেঙে পড়েছে। এর মধ্যে খাইবার পাখতুনখোয়ায় ৩৪টি আংশিক ও ১৪টি সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েছে। গিলগিট বালতিস্তানে ১৪টি আংশিক ও ৩টি সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া আজাদ কাশ্মীরে ২৩টি আংশিক ও ২৮টি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে।
জিও নিউজ বলছে, বেশ কিছু বাড়িঘর ভেসে গেছে। পাশাপাশি একাধিক এলাকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মোবাইল ফোনের টাওয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার ফলে বন্যা কবলিত এলাকাগুলো বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
উদ্ধারকারী দলগুলো আকাশপথে, পায়ে হেঁটে এবং মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ব্যবহার করে বন্যা কবলিত এলাকায় পৌঁছানোর চেষ্টা করছে। এর মধ্যে ত্রাণসামগ্রী নিয়ে যাওয়ার পথে একটি হেলিকপ্টার খারাপ আবহাওয়ার কারণে বিধ্বস্ত হয়েছে। তাতে পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
সূত্র : জি নিউজ।
বিডি-প্রতিদিন/শআ