দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আলোর মুখ দেখছে বগুড়া-সিরাজগঞ্জ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প। ১৬ জুন ‘বগুড়া হতে শহীদ এম. মনসুর আলী স্টেশন সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত নতুন ডুয়েলগেজ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের অনুকুলে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসুচীর অর্থ থেকে ১৯শ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা ভূমি অধিগ্রহণের জন্য অবমুক্তকরণ করা হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বগুড়া ও সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর চেক প্রদানপুর্বক ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হবে।
জানা যায়, বগুড়া ও সিরাজগঞ্জ জেলার মধ্যে নতুন রেলপথ নির্মাণের জন্য বগুড়া ও সিরাজগঞ্জের বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে। এ নিয়ে হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসুচিও পালন করা হয়েছে। জনগণের দাবির মুখে তৎকালীন সরকার বগুড়া-সিরাজগঞ্জ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প প্রহণের নির্দেশ দেন। ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে গুরুত্বপুর্ন প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। বর্তমানে বগুড়া থেকে ট্রেনে সিরাজগঞ্জ যেতে সান্তাহার জংশন, নাটোর ও ঈশ্বরদী হয়ে প্রায় ২০০ কিলোমিটার বেশি পথ ঘুরতে হয়। নতুন রেলপথ নির্মাণ হলে দূরত্ব কমে যাবে প্রায় ১২২ কিলোমিটার। পরিবহন খরচ যেমন কমবে তেমনি ৪ ঘন্টা সময় বাঁচবে। এতে উত্তরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতিসহ ব্যবসা-বাণিজ্য আরও প্রসার ঘটবে এবং উত্তরাঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। প্রকল্পের আওতায় মোট ৯টি স্টেশন নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। যার মধ্যে বগুড়ায় ৪টি ও সিরাজগঞ্জে ৫টি স্টেশন অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এছাড়াও বগুড়ার রানীরহাট ও সিরাজগঞ্জে দুটি জংশন স্থাপন করা হবে।
প্রকল্প পরিচালক মনিরুল ইসলাম ফিরোজী জানান, ইতোমধ্যে বগুড়া ও সিরাজগঞ্জে জমি অধিগ্রহনের জন্য ১৯শ কোটি ২৩ লাখ টাকা অবমুক্তকরন করা হয়েছে। দুই জেলার জেলা প্রশাসকের কাছে আগামী সপ্তাহের মধ্যে চেক হস্তান্তরপুর্বক ভুমি অধিগ্রহন শুরু হবে। বগুড়া-সিরাজগঞ্জ রেলপথ নির্মাণের জন্য ৯৬০ একর জমির প্রয়োজন হবে। আর ডুয়েল গেজের রেলসড়কটি নির্মাণ হলে ঢাকার সঙ্গে ১১২ কিলোমিটার পথ কমে যাওয়ার সঙ্গে সময় বেচে যাবে প্রায় ৪ ঘণ্টা।
বিডি প্রতিদিন/এএম