থেমে থেমে বৃষ্টি ও উজানের ঢলে গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র, করতোয়া ও ঘাঘট এই তিন নদনদীর পানি বেড়েই চলেছে। অবশ্য এসব নদ-নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে, কমতে শুরু করেছে তিস্তা নদীর পানি।
নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি ও ঘাগোয়া, ফুলছড়ি উপজেলার এরান্ডাবাড়ি ও ফজলুপুরের মানুষের মাঝে বন্যা অতঙ্ক বিরাজ করছে। এর মধ্যে তিস্তার পানি কমায় সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ও হরিপুর ইউনিয়নের মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে।
মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নিয়ন্ত্রণ কক্ষের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি স্টেশনে ৮৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। একইভাবে ঘাঘট নদের পানি জেলা শহরের নতুন ব্রিজ স্টেশনে ৬৬ সেন্টিমিটার ও করতোয়ার পানি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার চকরহিমাপুর স্টেশনে ৭৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে।
তবে, এসব নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম না করলেও এসব এলাকার মানুষের মাঝে বন্যা আতঙ্ক বিরাজ করছে। এদিকে, তিস্তার পানি সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সংলগ্ন কাউনিয়া স্টেশনে ৩২ সেন্টিমিটার কমেছে। এতে তিস্তাপাড়ের মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
গাইবান্ধা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক বলেন, টানা বৃষ্টির কারণে জেলার তিন নদ-নদীর পানি বেড়েই চলেছে। পানি বৃদ্ধি পেলেও তা বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলা বন্যার শঙ্কামুক্ত রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/কেএ