যানজট নিরসনে গাজীপুর জেলা পুলিশ ও কালীগঞ্জ থানা পুলিশের পাশাপাশি কালীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় সড়কে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করছে স্থানীয় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। ফলে ব্যস্ত ও যানজটযুক্ত সড়কগুলো দ্রুত যানজটমুক্ত হচ্ছে, আর স্বস্তির ঈদযাত্রায় চওড়া হাসি নিয়ে ঘরে ফিরছে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখা পোশাক শ্রমিক ও কর্মজীবী মানুষ।
সরেজমিনে দেখা যায়, কালীগঞ্জ-টঙ্গী-ঘোড়াশাল আঞ্চলিক সড়কের কাপাসিয়া মোড়ে যানজট নিরসনে প্রশাসনের উদ্যোগে ট্রাফিক পুলিশ ও থানা পুলিশের পাশাপাশি কাজ করছে স্থানীয় শিক্ষার্থীরা। আসন্ন ঈদুল ফিতরের যানজট কমাতে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় তারা সড়কের ব্যস্ততম এলাকা কাপাসিয়ার মোড়ে দায়িত্ব পালন করছে। শিক্ষার্থীদের হাতে লাঠি ও গলায় বাঁশি। দূর থেকেই তারা লাঠি ও বাঁশি ব্যবহার করে যানবাহনের দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন।
জানা গেছে, কালীগঞ্জ-টঙ্গী-ঘোড়াশাল আঞ্চলিক সড়ক হয়ে দেশের উত্তরবঙ্গের মানুষ কিংবা গাজীপুর বা ঢাকার আশপাশের মানুষ নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ, ভৈরব, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জসহ বিকল্প সড়ক হয়ে কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার যান। ফলে ব্যস্ত সড়ক এড়িয়ে তারা এই পথ ব্যবহার করে স্বস্তিতে ঘরে ফেরেন। একই সড়ক দিয়ে কর্মরত মানুষও বাড়ি ফিরছেন।
সড়কে যানজট নিরসনে দায়িত্ব পালন করা এক শিক্ষার্থী বলেন, "একজন ট্রাফিক পুলিশ যেমন সড়কে দায়িত্ব পালন করেন, আমরাও একইভাবে চেষ্টা করছি। আমাদের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে সড়কের শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং যানজট মুক্ত ঈদযাত্রা নিশ্চিত করা।"
কালীগঞ্জ সরকারি শ্রমিক কলেজের শিক্ষার্থী ও স্কাউট নেতা নাদিম বলেন, "গাজীপুর জেলা ট্রাফিক পুলিশ ও কালীগঞ্জ থানা পুলিশের পাশে আমরা স্থানীয় শিক্ষার্থীরা যানজট নিরসনে কাজ করছি। ২৫ মার্চ থেকে শুরু হওয়া দায়িত্ব চলবে ঈদের আগের দিন রাত পর্যন্ত। এ দায়িত্ব পেয়ে আমরা উপজেলা প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞ।"
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলিউদ্দিন বলেন, "যানজট নিরসনে গাজীপুরের পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় আমরা কাজ করছি। ঈদে মানুষ যেন নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারে, সে জন্য ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি থানা পুলিশও কাজ করছে। এছাড়া উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় স্থানীয় শিক্ষার্থীরাও দায়িত্ব পালন করছে। এবারে সড়কে কোনো যানজট নেই। মানুষ নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে ঘরে ফিরছে।"
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তনিমা আফ্রাদ বলেন, "এবারের রমজান ও ঈদে মানুষের স্বাভাবিক চলাচল নিশ্চিত করতেই শিক্ষার্থীদের কাজে লাগানো হয়েছে। ঈদের আগের দিন রাত পর্যন্ত তারা দায়িত্ব পালন করবে। জেলা ট্রাফিক ও কালীগঞ্জ থানা পুলিশের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরাও স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে সড়কের শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছে। আশা করি, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এবারের ঈদযাত্রা আগের বছরের তুলনায় আরও স্বস্তিদায়ক হবে।"
বিডি প্রতিদিন/আশিক