পেটে বাচ্চা নিয়ে মারা গেলো মা বন্যহাতি। মঙ্গলবার বিকাল ৩টার দিকে রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলার গাইন্দ্যা ইউনিয়নে কাইংটং পাড়ায় এঘটনা ঘটে।
বন কর্মকর্তারা বলছেন, প্রসব বেদনার যন্ত্রণায় বাচ্চাসহ মৃত্যু হয়েছে মা হাতির। বর্তমানে হাতিটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলার গাইন্দ্যা ইউনিয়নের কাইংটং পাড়ার গভীর জঙ্গলে হঠাৎ প্রসব বেদনা উঠে একটি বন্যহাতির। এসময় তার সাথে থাকা হাতির পাল চিৎকার করতে থাকে। হাতির শব্দে গ্রামের আশপাশের মানুষ ভয়ে পালাতে থাকে। কিন্তু বন্যহাতিকে তাণ্ডব করতে না দেখে স্থানীয়দের মনে সন্দেহ হয়। কাছে গিয়ে দেখে একটি গর্ভবতী বন্যহাতি প্রসব বেদনায় চিৎকার করছে। বিষয়টি দেখে স্থানীয়রা খবর দেয় বনবিভাগকে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের অধীনে কাপ্তাই উপজেলা পাল্পউড বন কর্মকর্তারা। কিন্তু তার আগেই পেটে বাচ্চা নিয়ে মৃত্যুর কলে ঢলে পড়ে মা বন্যহাতিটি।
রাঙামাটি রাজস্থলী উপজেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগের সহকারী চিকিৎসক চিরজিৎ চাকমা বলেন, গর্ভবতী বন্যহাতির প্রসব বেদনা উঠলেও বাচ্চা প্রসব করতে পারেনি। কারণ বাচ্চার পজিশন ঠিক ছিলো না। দীর্ঘক্ষণ প্রসব বেদনার কারণে পেটে বাচ্চা নিয়ে মা হাতির মৃত্যু হয়েছে। আমরা চেষ্টা করেছি পেটের বাচ্চাকে বাঁচাতে। কিন্তু মার সাথে শাবকও মারা গেছে। হাতিটি সুস্থ সবল ছিল। কিন্তু প্রসবকালের ঘটনা মর্মান্তিক।
পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের কাপ্তাই পাল্পউড রাজভিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা ফারজ আল আমিন বলেন, গর্ভবতী মা হাতির শরীরে কোনো গুলি কিংবা আঘাতের চিহ্ন ছিল না। বাচ্চা প্রসবকালে অসুস্থ হয়ে হাতিটি মারা গেছে। হাতিটির বয়স প্রায় ২০ বছর। ওজন ৩ টন ও দৈর্ঘ্য ১০ থেকে ১২ ফুট। ময়নাতদন্তে করে মৃত মা হাতির পেট থেকে বাচ্চা বের করা হয়েছে। মার পেটে তারও মৃত্যু হয়েছে। মৃত মা ও বাচ্চা হাতিকে মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল