কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পাঁচতলা থেকে পড়ে গনি মিয়া নামে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৭ মার্চ) রাত এগারোটা ৫০ মিনিটে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের পাঁচ তলার বারান্দার পাশে থাকা খোলা জানালা দিয়ে নিচে পড়ে যান তিনি। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়েছে।
৪৭ বছর বয়সী ওসমান গনি কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার বালুতুপা-দৌলতপুর গ্রামের বাসিন্দা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মহিনুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। স্বজনরা নিহতের মরদেহ বাড়িতে নিয়ে যায়।
নিহত গনির স্বজনরা জানান, হাতের চিকিৎসার জন্য গেল ৩ মার্চ তিনি কুমেক হাসপাতালে ভর্তি হন।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, অরক্ষিত জানালার পাশে গণি মিয়াকে যে বেড দেয়া হয় সেখান থেকে তিনি পড়ে যান। রবিবার রাতে হঠাৎ তারা একটি বিকট শব্দ শোনেন। পরে নিচে গিয়ে দেখেন গনি মিয়ার লাশ পড়ে আছে। এদিকে ওয়ার্ড মাস্টার বিল্লাল হোসেন বারান্দার পাশের বেডটি সরিয়ে নেন।
নিহত গনি মিয়ার বড় ছেলে রানা জানান, গত ৩ মার্চ তার বাবা হাতে ব্যথা নিয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। প্রায় সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন। আর দিন দুয়েক পর হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরতেন। সে ফেরা আর হলো না। আজ বিকেলে গ্রামের বাড়ি জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার কনেশতলা এলাকায় জানাযা শেষে দাফন করা হবে তাকে।
গনি মিয়ার স্ত্রী কোহিনুর বেগম বলেন, রাতে ভাত খাওয়ানোর পর তার স্বামী বলছিলেন শরীরটা ভালো লাগছে না। পরে এপাশ ওপাশ করতে করতে বিছানা থেকে পড়ে যান গনি। বারান্দার পাশে যেখানে বেড ছিল সেখানে কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না।
এ বিষয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের উপপরিচালক ডা. শাহজাহান বলেন, রমজান মাসে রোগীর সংখ্যা একটু কম। কক্ষের ভেতর বেড ছিল। চাইলে তিনি সেখানে চিকিৎসা নিতে পারতেন। গতকাল রাতে বারান্দা সংলগ্ন যে বেডে ছিলেন সেখানে তিনি নিজের ইচ্ছায় ছিলেন। তিনি হাতে ব্যথা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। তার চিকিৎসা সেবা ভালোই চলছিলো। গতকাল রাতে তিনি বেড থেকে পড়ে মারা যান। এটা অবশ্যই দুর্ঘটনা হিসেবে দেখছি। পাশাপাশি বারান্দা থেকে বেডগুলো সরিয়ে নেয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে যেন এমন দুর্ঘটনা না ঘটে সেজন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সতর্ক থাকবে বলে জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ