নড়াইলে সালমা আক্তার (৩০) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল লোহাগড়া উপজেলার নলদী ইউনিয়নের গাছবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বসতঘরের সামনে কচুবাগানে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় লাশ ফেলে রাখা ছিল। ঘটনার পর ওই গৃহবধূর স্বামী শহিদুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন। লোহাগড়া থানার ওসি শরিফুল ইসলাম বলেন, গৃহবধূর গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পরিবারের অভিযোগ সালমাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে ফেলে রাখে তার স্বামী। অভিযুক্ত শহিদুল উপজেলার ডহরপাড়া গ্রামের সালাম মোল্যার ছেলে। সালমা গাছবাড়িয়া গ্রামের সাইদুর রহমানের মেয়ে।
স্বজনরা জানায়, সালমা গাছবাড়িয়া গ্রামে বাবার বাড়ির পাশে ঘর বেঁধে বসবাস করতেন। বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি আসেন স্বামী শহিদুল। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঘরের পাশে সালমার লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয় ও স্বজনরা পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে নলদী পুলিশ ফাঁড়ি ও লোহাগড়া থানা পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠায়।