নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে মো. ইদু মিয়া (২০) নামে এক অটোরিকশাচালকের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে, বলছেন স্বজনরা। গতকাল উপজেলার আদর্শনগর গ্রামের শিবির আশ্রয় কেন্দ্রের পাশের একটি স্কুলের পরিত্যক্ত কক্ষ থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। ইদু মিয়া একই উপজেলার আটনায়া কামারগাও গ্রামের মৃত আনজুবালির ছেলে। তিনি আদর্শনগর নানারবাড়ি শিবির আশ্রয় কেন্দ্রে বসবাস করতেন। মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, কী কারণে কেন এ হত্যা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সোমবার রাতে ইদু মিয়াকে কে বা কারা মুঠোফোনে ঘর থেকে ডেকে বাইরে নিয়ে যায়। এরপর আর তিনি ফিরে আসেননি। সকালে ওই এলাকার প্রাইমারি স্কুলের একটি পরিত্যাক্ত কক্ষে লাশ দেখতে পাওয়া যায়। পরে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। এদিকে সাভারে পৌর কোডবাড়ী এলাকায় দুজয় (৪০) নামে এক সবজি ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল ভোরে এ ঘটনা ঘটে। দুজয় সাভার পৌর এলাকার লিয়াকতের ছেলে। তিনি রাজধানীর কাওরানবাজারে সবজির ব্যবসা করতেন। সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল মিয়া বলেন, এ ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে আশপাশ সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। থানার এসআই আবদুল কাদের মিয়া বলেন, ভোরে রাস্তার পাশে লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। লাশ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, দুজয় খাবার খেয়ে রাত ১টার দিকে বাসা থেকে দোকানে সিগারেট কেনার কথা বলে বের হন। সারারাত আর বাসায় ফেরেননি। নিহতের মাথা ও গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। কারা হত্যায় জড়িত এবং কী কারণে হত্যা করা হয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ ছাড়া দা দিয়ে কুপিয়ে মাকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মাদকাসক্ত ছেলের বিরুদ্ধে। সোমবার দিবাগত রাতে সাভার উপজেলার আশুলিয়ার শিমুলিয়ার ইউনিয়নে ভাটিয়াকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হত্যার শিকার নারীর নাম সুফিয়া খাতুন (৬০)। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছেলে আওলাদ হোসেনকে (৩২) কালিয়াকৈর থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সুফিয়া খাতুন ভাটিয়াকান্দি পশ্চিমপাড়া গ্রামের নেহাজ্জুদ্দিন ব্যাপারীর স্ত্রী। আশুলিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, দা দিয়ে মাকে কুপিয়ে হত্যা ঘটনার ছেলে আওলাদকে গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হত্যায় ব্যবহার করা দা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, নেহাজ্জুদ্দিন ব্যাপারীর ছেলে আওলাদ হোসেন মাদকাসক্ত। মাদকের টাকার জন্য প্রায়ই আওলাদ মায়ের সঙ্গে খারাপ আচরণ করতেন। সোমবার রাতে কোনো এক সময় আওলাদ হোসেন মাদকের টাকা না দেওয়ায় মাকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে গতকাল পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।