প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে একটি ধর্মভিত্তিক দলের অনুগতদের বসানো হচ্ছে অভিযোগ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আজকে প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় একটি ইসলামপন্থি রাজনৈতিক দলের লোকজনদের খুব কৌশলে বসানো হচ্ছে। এটা দিয়ে কিন্তু অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। জনগণ প্রত্যক্ষ করছে, আমরাও প্রত্যক্ষ করছি। কোনো কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদে এসব বিশেষ রাজনৈতিক দলের মনোভাবাপন্ন প্রশাসক এবং আমলাদের বসানো হচ্ছে। তারা কখনোই নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে দেবে না। গতকাল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (অ্যাব) নবগঠিত কমিটির সদস্যদের নিয়ে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা শেষে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, আজকে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সংঘাত তৈরি করার জন্য নানাবিধ প্রক্রিয়া চলছে। কিন্তু দেশের জনগণ, দেশপ্রেমিক মানুষ, এ দেশের হিন্দু-মুসলমান জনগোষ্ঠী, সবাই টের পেয়েছে কোথা থেকে কী হচ্ছে। তাই সবাই একত্রিতভাবে এবারের হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষদের দুর্গাপূজা হয়েছে। অত্যন্ত উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে তাদের উৎসব পালন করেছে সব ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করে।
বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উদাহরণ দিয়ে রিজভী বলেন, এ দেশের মানুষ, হিন্দু-মুসলমান, আলেম-ওলামা, মসজিদের মুয়াজ্জিন, মসজিদের ইমাম, মাদরাসার ছাত্র প্রত্যেকেই পূজামণ্ডপ পাহারা দিয়েছে। এইটা হচ্ছে আমাদের ঐতিহ্য। এটি সম্প্রীতির ঐতিহ্য। আমাদের নেতা সুস্পষ্টভাবে বলেছেন, আমরা দীর্ঘদিন সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ। তাই আমাদের মধ্যে কেউ কোনো বিভাজন তৈরি করতে পারবে না।
তাদের নিজের দেশে তারা যাই করুক যতই অন্ধকার নামিয়ে নিয়ে আসুক কিন্তু আমাদের সেটি করতে পারবে না।
ভারতের পূজামণ্ডপে ডক্টর ইউনূসকে বিকৃত করার সমালোচনায় রিজভী বলেন, আমরা দেখতে পেলাম যে, ভারতে ড. ইউনূসসহ আরও কয়েকজন বিশ্বনেতার মূর্তি বানানো হয়েছে। এগুলো অত্যন্ত নিম্নরুচির পরিচয়, এটা একেবারেই একটা অপসংস্কৃতির পরিচয়। ভারতে আমরা শুনেছি সংগীত শিল্পকলার এত চর্চা হয়, সেই দেশ এত নিম্নরুচির পরিচয় দেবে এটা আমরা কল্পনা করতে পারি না।