রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আগামী ৯ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে শিল্পী আবু সালেহ টিটুর তিন দিনব্যাপী প্রদর্শনী। এটি হতে যাচ্ছে তাঁর চতুর্থ প্রদর্শনী। ল্যান্ডস্কেপড অ্যাবস্ট্র্যাকশন, কিছু মিক্সড-মিডিয়া এক্সপেরিমেন্টেশন এবং কয়েকটি কনসেপচুয়াল ইনস্টলেশন দিয়ে সাজানো থাকবে এই প্রদর্শনী। শিল্পতত্ত্বে নারীর উপস্থিতি বহু দার্শনিক আলোচনার বিষয়। টিটুর ছবিতে নারী সেই দার্শনিক অর্থেই হাজির হন- যেন এক অবিরাম প্রতীক্ষা, যা আমাদের ভিতরের ক্ষয়িষ্ণু সময়কে দৃশ্যমান করে তোলে। শিল্প সমালোচকদের মতে, টিটুর ছবিতে নারীর উপস্থিতি এক ধরনের বিরহ ও অস্তিত্ব-শূন্যতার ইমেজারি নিয়ে আসে।
নারী কখনো প্রতীক্ষার অবয়বে, কখনো দৃষ্টির শূন্যতায়, আবার কখনো রঙে মিশে থাকা রহস্যঘেরা প্রতীকে উপস্থিত হয়। তাঁর ব্যবহৃত উজ্জ্বল রঙের আড়ালে লুকিয়ে থাকে এক ধরনের ইন্টেরিয়রাইজড সাইলেন্স, যেন ক্যানভাসের ভিতরে ভাসছে কান্নার গোপন শব্দ।
দর্শক কোনো নির্দিষ্ট বস্তু বা চেনা দৃশ্য খুঁজে না পেলেও তাঁর চিত্রগুলো একধরনের ইন্টেলেকচুয়াল এঙ্গেজমেন্ট তৈরি করে, যা ভিজ্যুয়াল পারসেপশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। রং ব্যবহারে টিটু বিশেষভাবে আধুনিক। মনোক্রোমাটিক এক্সপ্লোরেশনের সঙ্গে ক্রোমাটিক কনট্রাস্ট দিয়ে ক্যানভাসে এক ধরনের সোনিক রিদম তৈরি করেন শিল্পী টিটু। তার চিত্রকলা শুধু ভিজ্যুয়াল অবজেক্ট নয়, বরং একধরনের সাইকো-অ্যানালিটিক অভিজ্ঞতা। টিটুর পূর্বের শিল্পকর্মে মুগ্ধ বেশ কয়েকজন দর্শক বলেন, টিটুর কাজ দেখার সময় তারা এক ধরনের ইমোশনাল অ্যাবস্ট্রাকশন অনুভব করেন যেখানে ব্যক্তিগত স্মৃতি, অবচেতন মানসিকতা ও সামাজিক অস্থিরতা একত্র হয়ে মিশে যায়।