রাজধানীর সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রস্তাবিত ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ অধ্যাদেশের খসড়া প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে। তারা বলছে, খসড়ায় একাধিক অসংগতি রয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের স্বাতন্ত্র্য, ঐতিহ্য ও একাডেমিক উন্নতির জন্য অনুপযোগী ও অযৌক্তিক। সাত কলেজের স্বায়ত্তশাসন রক্ষা ও শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নের জন্য অবশ্যই আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে অক্সফোর্ড মডেলের মতো একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। গতকাল ঢাকা কলেজে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানানো হয়।
শিক্ষার্থীরা কলেজগুলোর প্রশাসনিক ও আর্থিক স্বাধীনতা, নিজস্ব গভর্নিং বডি ও সম্পদ নিশ্চিত করার দাবি জানায়। তারা অভিযোগ করে, সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন একসময় গুটিকয়েক ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। তাদের অতি উগ্রতা ও অশোভন আচরণ ক্যাম্পাসে অরাজকতা সৃষ্টি করেছে। ফলে সাধারণ ছাত্র, নারী শিক্ষার্থী এমনকি শিক্ষকরাও মানসিক হেনস্তার শিকার হয়েছেন। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ২৪ থেকে ২৬ বার আলোচনা হলেও কলেজের অধ্যক্ষ ও বিভাগীয় প্রধানদের মতামত গ্রহণ করা হয়নি।
ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী পিয়াস আহমেদ আলিফ বলেন, খসড়ায় ইডেন ও বদরুন্নেসা কলেজে সহশিক্ষা চালু করার প্রস্তাব রয়েছে, যা শতবর্ষের নারী-অগ্রাধিকার কমাবে। খসড়ায় ধর্মভিত্তিক বিষয় ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, ইসলামিক স্টাডিজসহ একাধিক বিভাগ বাদ দেওয়াকে তারা ‘ধর্মবিদ্বেষী মনোভাব’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ইন্টারমিডিয়েট স্তরের ভবিষ্যৎ, অ্যালামনাই পরিচয়, ক্যাম্পাস ও হল ব্যবহারের অধিকার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ফ্যাসিলিটি ব্যবহারের সমাধান খসড়ায় নেই। তারা মনে করছেন, এতে প্রায় ২০০ বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্য মুছে ফেলার চেষ্টা চলছে।