আন্দোলনের সময় যে নারী ও তরুণরা মুখ্য ভূমিকা রেখেছে তার মধ্যে কিছু তরুণ সামনে এগিয়ে এসেছেন। কিন্তু সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের তরুণ সমাজ বা মেয়েরা আসেনি। এই দেশের মূল শক্তি তরুণরা। রাজনৈতিক দলে নারীদের অংশগ্রহণ কম। সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারী ও তরুণদের দেখা যায় না। দেশকে এগিয়ে নিতে রাজনীতিতে নারী ও তরুণদের অংশগ্রহণ প্রয়োজন। গতকাল নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের সহায়তায় সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) অডিটোরিয়ামে ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি : নারী ও তরুণ নেতৃত্বের অভিযাত্রা’ শীর্ষক গোলটেবিল সংলাপে বক্তারা এসব কথা বলেন। এ সময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত জোরিস ভ্যান বোমেল এবং নির্বাচন সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান বদিউল আলম মজুমদার।
আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহির উদ্দিন স্বপন ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহসম্পাদক অ্যাডভোকেট ফাহিমা নাসরীন মুন্নী, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মহিলা বিভাগীয় আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাবিকুন্নাহার মুন্নি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহবিষয়ক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলুল করিম মারুফ, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসরিন সুলতানা মিলি, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ, গণফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, জাতীয় পার্টির মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন, বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. তানিয়া হক, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান ও ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) কার্যকরী সদস্য হেমা চাকমা, বাংলাদেশ এলায়েন্স ফর উইমেন লিডারশিপের নির্বাহী পরিচালক নাসিম ফেরদৌস ও এনডিএমের মহাসচিব মমিনুল আমিন।
আলোচনায় সাম্প্রতিক গণ অভ্যুত্থানে নারী ও তরুণদের রূপান্তরমূলক ভূমিকাকে বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়। অংশগ্রহণকারীরা জোর দিয়ে বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক অংশগ্রহণ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, গণতান্ত্রিক বৈধতা এবং বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদি শাসন কাঠামোকে শক্তিশালী করে।