দায়িত্ব নেওয়ার সাড়ে দশ মাসের মাথায় পদত্যাগ করেছেন ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শেখ মোহাম্মদ মারুফ। গত বৃহস্পতিবার ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবদুল হাই সরকারের কাছে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
শেখ মোহাম্মদ মারুফ বলেন, পদত্যাগের কোনো বিশেষ কারণ নেই। একদম ব্যক্তিগত কারণে পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছি। আমি কয়েকটা দিন বিশ্রাম নেব, তারপর দেখি। পর্ষদ থেকে পদত্যাগে চাপের গুঞ্জন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, না, এমন কিছু না। বোর্ড বরাবর আমি নিজেই পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি।
তবে ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবদুল হাই সরকার ভিন্ন বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের বেশ কিছু নিয়ম পরিপালন করতে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। তাঁর পদত্যাগপত্র আমরা পেয়েছি। সোমবার পর্ষদ সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
২০২৪ সালের ১ অক্টোবর ঢাকা ব্যাংকের এমডি হিসেবে যোগ দেন শেখ মোহাম্মদ মারুফ। এর আগে তিনি সিটি ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। তবে এক বছরেরও কম সময় দায়িত্বে থেকে পদ ছাড়তে হলো তাঁকে। ব্যাংকের একটি সূত্র জানিয়েছে, সরকার পরিবর্তনের পর ঢাকা ব্যাংকের কয়েকজন সাবেক ও বর্তমান পরিচালক হঠাৎ সক্রিয় হয়ে ওঠেন। কেউ কেউ নিয়মিত ব্যাংকে যাতায়াত শুরু করলে এমডির সঙ্গে টানাপোড়েন তৈরি হয়। এ কারণেই তাঁকে পদত্যাগ করতে হয়েছে বলে জানা গেছে।
চলতি মাসের শুরুতে এক সপ্তাহের মধ্যে তিন ব্যাংকের এমডি পদত্যাগ করেছেন। এর মধ্যে সাউথইস্ট ব্যাংকের এমডিকে আগে থেকেই ছুটিতে পাঠানো হয়েছিল। এ ছাড়া মেঘনা ব্যাংক ও কমার্স ব্যাংকের এমডি হঠাৎ পদ ছাড়েন। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো এমডি পদত্যাগ করলে কারণসহ তা কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানাতে হয়। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংক সিদ্ধান্ত নেয়, পদত্যাগ কার্যকর হবে কি না। অতীতে পদত্যাগ করা কোনো এমডিকে আবার কাজে ফেরানো হয়েছিল এমন নজিরও রয়েছে।