চলতি বছর পবিত্র হজ পালনের আগে ও পরে ৪৫ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে পুরুষ ৩৪ ও নারী ১১ জন। এর মধ্যে মক্কায় মারা গেছেন ২৭, মদিনায় ১৪, জেদ্দায় তিন ও আরাফায় একজন। গতকাল ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ ব্যবস্থাপনা পোর্টালের মৃত্যু সংবাদে এসব তথ্য জানা গেছে। এদের সবাই নানা ধরনের জটিল রোগব্যাধিতে আক্রান্ত ছিলেন। পোর্টাল সূত্রে জানা যায়, সর্বশেষ গত ৫ জুলাই মারা যান রংপুরের মিঠাপুকুরের আবুল কালাম আজাদ (৬৫) ও ভোলার লালমোহনের রুহুল আমিন (৬২)। মারা যাওয়া ৪৫ জনের মধ্যে কেউ হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে আবার কেউ স্বাভাবিকভাবে মৃত্যুবরণ করেন। এদিকে, পবিত্র হজ পালন শেষে দেশে ফিরেছেন ৮৭ হাজার ১০০ বাংলাদেশি হাজি।
সোয়া ৮ কোটি টাকা ফেরত পাবেন হাজিরা : ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালন করা ৪ হাজার ৯৭৮ জনকে (হাজি) উদ্বৃত্ত ৮ কোটি ২৮ লাখ ৯০ হাজার ১৮৩ টাকা ফেরত দেওয়া হবে। প্যাকেজভেদে হজযাত্রীরা জনপ্রতি ৫ হাজার ৩১৫ থেকে ৫৩ হাজার ৬২৪ টাকা করে ফেরত পাবেন।
চলতি বছর হজ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের অর্জন নিয়ে গতকাল সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা এ কথা জানান।
উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন জানান, ২০২৬ সালের হজের খরচ আরও কমিয়ে আনতে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেই লক্ষ্যে নভেম্বরেই সৌদি আরবের সঙ্গে হজ চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। আমাদের উদ্দেশ্য হজযাত্রীদের সর্বোচ্চ সেবা এবং তাদের জন্য সম্মানজনক ও সহজ হজ নিশ্চিত করা। আমরা ব্যয় কমানোর পাশাপাশি গুণগত মান বজায় রাখার দিকেও বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি।
ফেরত আসা যাত্রীদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ফিরেছেন ৫ হাজার ৪১৩ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ফিরেছেন ৮১ হাজার ৬৮৭ জন। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ফিরিয়ে এনেছে ৩৮ হাজার ৬৮৪ জন, সৌদি এয়ারলাইনস ২৭ হাজার ৮১ জন এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ১২ হাজার ২৬৭ জন হাজিকে। এ ছাড়া অন্যান্য এয়ারলাইনসে দেশে ফিরেছেন ৯ হাজার ৬৮ জন হাজি। এ পর্যন্ত ২২১টি ফিরতি হজ ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ১১২ ও সৌদি এয়ারলাইনস ৭৫টি ফ্লাইট চালিয়েছে, আর ফ্লাইনাস পরিচালনা করেছে ৩৪টি ফ্লাইট।