কুষ্টিয়া পৌর বিএনপির নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে প্রত্যাখ্যান করেছেন সভাপতি পদে পরাজিত প্রার্থী আখতারুজ্জামান ওরফে কাজল। তিনি বলেন, এ অনিয়ম ও ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করছি এবং পুনরায় নির্বাচনের দাবি করছি। এ বিষয়ে গতকাল কুষ্টিয়া এন এস রোডে একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন হয়। সংবাদ সম্মেলন চলাকালে সেখানে খবর পৌঁছায় কুষ্টিয়াা সরকারি কলেজ ছাত্রাবাসের পরিত্যক্ত টয়লেটে সভাপতি পদে পরাজিত প্রার্থী আখতারুজ্জামানের চেয়ার প্রতীকের সিল মারা বেশ কিছু ব্যালট পেপার পাওয়া গেছে। এ নিয়ে দুপুর থেকেই দলটির নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়।
২৭ জুন কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ মাঠে পৌর বিএনপির দ্বিবার্ষিক কাউন্সিল হয়। কাউন্সিল শেষে ভোটে সভাপতি পদে এ কে বিশ্বাস বাবু ও সাধারণ সম্পাদক পদে কামাল উদ্দিন বিজয়ী হন। কাজল কারচুপির অভিযোগ তুলে ভোট পুনর্গণনার আহ্বান জানান। পরদিন পুনর্গণনায় চার ভোট বেড়ে কাজলের ভোট সংখ্যা হয় ৫৯৯। জয়ী প্রার্থী বাবু পান ৬১১ ভোট। সংবাদ সম্মেলনে কাজল বলেন, চার ভোট বেড়ে যাওয়ায় প্রমাণ হয়, কারচুপি হয়েছে। তা ছাড়া খবর পেলাম, টয়লেটে শতাধিক সিলযুক্ত ব্যালট পেপার পাওয়া গেছে। এ বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সবাইকে তদন্ত করে দেখার আহ্বান জানাচ্ছি। কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সদস্যসচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার বলেন, ভোটের সারা দিন কারও কোনো অভিযোগ ছিল না। ফল ঘোষণার পরই তাদের যত অভিযোগ। আমরা আন্তরিকতার সঙ্গে শতভাগ স্বচ্ছ একটি নির্বাচন করেছি। এখানে কারচুপির অভিযোগ ভিত্তিহীন।