চট্টগ্রামে পূর্ণাঙ্গ পরীক্ষাগার না থাকায় ব্যবসায়ীদের ভোগান্তির শেষ ছিল না। বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) অনুমোদনের জন্য ছুটতে হতো ঢাকায়। তবে এবার সে দুঃখ ঘুচছে ব্যবসায়ীদের। নতুন যুগে প্রবেশ করছে বিএসটিআই চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়। যাত্রা হচ্ছে নতুন ভবনে পূর্ণাঙ্গ পরীক্ষাগার। আগের ল্যাবে ৯২টি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হতো। এখন বাধ্যতামূলক তালিকাভুক্ত সব পণ্যের পরীক্ষা হবে চট্টগ্রামেই। ফলে আগের তুলনায় অনেক বেশি ব্যবসায়ী সেবা পাবেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিএসটিআই চট্টগ্রাম কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানি বলেন, ‘বিএসটিআইয়ের নতুন ভবনের উদ্বোধন হবে আজ। এ ভবনের জন্য আমরা দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করেছি। কারণ এ ভবনে স্থাপন করা হচ্ছে অত্যাধুনিক পূর্ণাঙ্গ ল্যাবরেটরি। ইতোমধ্যে ল্যাবের মেশিন চলে এসেছে। এগুলো স্থাপন করা হচ্ছে। একই সঙ্গে জনবল নিয়োগের প্রক্রিয়াও চলমান রয়েছে। এখন থেকে কাউকে আর পরীক্ষার জন্য ঢাকার ওপর নির্ভরশীল হতে হবে না। সব পরীক্ষা চট্টগ্রামেই হবে। নতুন মেশিন অনেক এসেছে।’
জানা গেছে, বিএসটিআই দেশে উৎপাদিত শিল্পপণ্য, বৈদ্যুতিক ও প্রকৌশল পণ্য, খাদ্য ও কৃষিজাত পণ্যসহ মোট ৩১৫টি পণ্য নজরদারি করছে। এসব পণ্যের মধ্যে চট্টগ্রাম ল্যাবে রাসায়নিক পরীক্ষা সম্পন্ন করা হতো ৯২টির। এ ছাড়া ফিজিক্যাল পরীক্ষা সম্পন্ন করা যেত ২৪টির। নতুন ল্যাবে পানি, গুঁড়া দুধের মেলামিন, ফায়ার এক্সটিংগুইশারের মান, ত্বকের বিভিন্ন প্রসাধনী, ইলেকট্রিক মিটারের মান, লেখা এবং ছাপাখানার কাগজ পরীক্ষা এবং শিশুখাদ্য, টাইলস, সয়াবিন ও সূর্যমুখী তেল, কলম, সস, জুস, টুথপেস্ট, শ্যাম্পু, পেনসিল, চকলেট, মেটার মেলামিন, অ্যান্টিবায়েটিক রেসিডু, স্বর্ণের বিশুদ্ধতা নির্ণয় করা হবে। অন্যদিকে নতুন ৩১ মেশিনের মাধ্যমে সব ধরনের পেট্রোলিয়াম পণ্যের পরীক্ষা করাও সম্ভব হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন ১০ তলা ভবনের উদ্বোধন হবে। এতে অতিথি হিসেবে শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, জুলাই আন্দোলনের শহীদ ফয়সাল আহমেদ শান্তর মা কোহিনুর আক্তার, শিল্প সচিব ওবায়দুর রহমান, চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম ও বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক এস এম ফেরদৌস আলম উপস্থিত থাকবেন।