বরিশাল বিভাগে এ বছর খামারিদের ৭৫ ভাগ কোরবানির গরু অনলাইনে অগ্রিম বিক্রি হয়েছে। ক্রেতাদের মধ্যে সিংহভাগ ঢাকার বলে খামারিরা জানিয়েছেন। কোরবানির দুই দিন আগে থেকে এসব গরু ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন খামারিরা।
বরিশালের এমইপি অ্যাগ্রোর ব্যবস্থাপক রাফিউর রহমান অমি বলেন, তাদের খামারে দেশি, দেশাল ও শাহিওয়াল প্রজাতির আড়াই শ গরু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। বুধবার পর্যন্ত তাদের খামারের ৭৫ ভাগ গরু আগাম বিক্রি হয়েছে। তাদের খামারের গরু কেজি দরে লাইভ ওয়েট দিয়ে বিক্রি করেছেন। এর মধ্যে ১০০ থেকে ৫০০ কেজি ওজন সাইজের গরু ৪৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়াও ৫০০ কেজির বেশি ওজন সাইজের প্রতিটি গরু ৪৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। তাদের খামারের বড় সাইজের ১১টির মধ্যে ৮টি গরু বিক্রি হয়েছে।
বরিশাল বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বিভাগের ছয় জেলায় ৩ লাখ ৯১ হাজার ১৫৭টি পশুর চাহিদা রয়েছে। কিন্তু পশু রয়েছে ৪ লাখ ৫৭ হাজার ৮৫৮টি। এর মধ্যে গরুর চাহিদা ৩ লাখ ২৫ হাজার ৯২৮টি। মহিষ রয়েছে ৯ হাজার ৪৩০টি, ছাগল রয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার ১৯৩টি, ভেড়া ১২ হাজার ২৮২টি ও অন্যান্য ২৫টি।