রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) এক্সপো ভিলেজে আজ পর্দা নামছে টেলিভিশন, সম্প্রচার ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মেলার। তিন দিনব্যাপী ‘ইন্টারন্যাশনাল কেবল টিভি, ব্রডকাস্টিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন (আইসিবিসি) এক্সপো-২০২৫’ এর আয়োজন করছে কেবল অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)। মেলায় ৯৬টি স্টল অংশ নিয়েছে। এতে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল, দেশি-বিদেশি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট পণ্য আমদানিকারকসহ উৎপাদনকারীরা মেলায় অংশ নিয়েছেন। গতকাল ছুটির দিনে জমে উঠেছে মেলা। প্রতিটি স্টলেই ছিল উপচে পড়া ভিড়। ক্রেতাদের উপস্থিতি নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন স্টলসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। অন্যদিকে এক ছাদের নিচে বিভিন্ন পণ্য ও সেবা পেয়ে খুশি ছিলেন ক্রেতারাও।
সফটওয়্যার কোম্পানি ইজি ই বিলিংয়ের মার্কেটিং বিভাগের প্রধান মো. মইনুল ইসলাম বলেন, আমরা সাধারণত সব টেক ফেয়ারে অংশগ্রহণ করি। এতে আমাদের পণ্যের প্রচারের পাশাপাশি সফটওয়্যারের চাহিদাও অনেক বেড়ে যায়। আমরা মূলত ব্যবসায়ীদের জন্য কাজ করি, মেলায় ক্রেতাদের থেকে খুব ভালো সাড়া পাচ্ছি।
আয়োজকরা জানান, বাংলাদেশে তৃতীয়বারের মতো এই মেলা আয়োজন করা হয়েছে। এর আগে মেলা আয়োজন করা হয়েছিল ২০০৭ ও ২০০৮ সালে। কোয়াব সভাপতি এ বি এম সাইফুল হোসাইন সোহেল বলেন, ‘টেলিভিশন মালিক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কলাকুশলীসহ কেবল অপারেটর, টেকনোলজিভিত্তিক অংশীদার, আমদানিকারক, উৎপাদক এবং বিক্রেতাদের সমন্বয়ে মেলাটির আয়োজন করা হয়েছে। টেলিভিশন মালিকদের আয় বাড়াতে এবং কেবল অপারেটরদের ব্যবসা নিরাপদ রাখার উদ্দেশ্য নিয়ে এই খাতে সম্পূর্ণ ডিজিটাইজেশন করাই আমাদের মুখ্য উদ্দেশ্য। এই ডিজিটাইজেশন সম্ভব হলে সরকারও তাদের থেকে বিপুল পরিমাণ কর পাবে, যা বছরে প্রায় হাজার কোটি টাকা।’
কোয়াব দপ্তর সম্পাদক মো. আনিসুল ইসলাম বলেন, ২০০৮ সালের পর এই প্রথম ২০২৫ সালে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। বিগত ১৬ বছর ধরে তারা একটি বৈষম্যের শিকার ছিলেন এবং তাদের সংগঠন প্রশাসকের অধীনে ছিল।
কোয়াব সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল মামুন বলেন, এবারের আয়োজনে তাদের প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সাড়া মিলেছে। প্রথমে ১০০টি ইউনিট লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও পরবর্তীতে কমিয়ে ৮০টি করার কথা ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত ৯৬টি ইউনিট অংশ নিয়েছে।
তিনি বলেন, ক্যাবল টিভি, ওটিটি, ইন্টারনেট, স্যাটেলাইট এবং হার্ডওয়্যার বিক্রয়কারীসহ টোটাল টেক ইন্ডাস্ট্রিকে এক ছাদের নিচে নিয়ে আসাই ছিল মূল লক্ষ্য। পৃথিবীর সব স্থানেই টেক সেক্টরগুলো এক ছাদের নিচে থাকে। বাংলাদেশ স্যাটেলাইট নামক স্টোরে স্টারলিং প্রযুক্তি পর্যন্ত রয়েছে। এ ছাড়া, বাংলাদেশে যারা এনটিটি বা আন্ডারগ্রাউন্ড ফাইবার অপটিকের কাজ করছে, সেসব প্রতিষ্ঠানও এই মেলায় অংশগ্রহণ করেছে।