একটি ভবন হেলে পড়লে কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে। কিছুদিন চলে তৎপরতা। ভবন মালিককে দেওয়া হয় চিঠি। টানাটানি চলে নকশা ও ভবন অনুমোদনের ফাইল নিয়ে। তবে কিছুদিন পার হওয়ার পর সব আগের জায়গায় চলে যায়। চাপা পড়ে সব তৎপরতা। কোথাও ভবন ৬ থেকে ১৮টি ইঞ্চি পর্যন্ত হেলে পড়ে, কোথাও পিলার বা অন্য কোথাও ফাটল দেখা দেয়। ফলে চট্টগ্রামে আবাসিক এলাকায় নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়াচ্ছে হেলে পড়া ভবন। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) নগরের ভবন তৈরিতে নকশা অনুমোদন করে থাকে। সিডিএতে প্রতি মাসে অন্তত তিন থেকে পাঁচটি হেলে পড়া ভবনের বিষয়ে অভিযোগ জমা পড়ে। সর্বশেষ গত ৪ মে ভবন হেলে পড়ার একটি অভিযোগ আসে সিডিএতে। তাছাড়া গত বছরের ৫ জুন নগরের চান্দগাঁও থানার বাহির সিগন্যাল এলাকায় একটি পাঁচতলা ভবন হেলে পড়ে। ভবনের ওপরের অংশ ৬ থেকে ১৮ ইঞ্চি পর্যন্ত হেলে যায়। অভিযোগ আছে, হেলে পড়া ভবনগুলোর মধ্যে অধিকাংশই সিডিএর অনুমোদন না নিয়ে নির্মিত। অথবা অনুমোদন নেওয়া হলেও সেগুলো নকশা মেনে নির্মাণ করা হয়নি। আবার অনুমোদনের পর সিডিএর যে তদাররি করার কথা তা করা হয় না। তাছাড়া ভবনের নকশা অনুমোদনের সময় স্থপতি ও প্রকৌশলীর প্রত্যয়নপত্র নিতে হয় এবং তারা পরে নির্মাণকাজ তদারক করার কথা। কিন্তু নকশা অনুমোদনের পর ভবন মালিকরা স্থপতি ও প্রকৌশলীদের তদারকিতে রাখেন না। নগরে অনুমোদনহীন এবং ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের ছড়াছড়ি থাকলেও এ নিয়ে সিডিএর কোনো তৎপরতা দেখা যায় না।
সিডিএর অথরাইজড অফিসার-১ প্রকৌশলী কাজী কাদের নেওয়াজ বলেন, ভবন হেলে পড়া নিয়ে অভিযোগ আসে। আমার ডিভিশনে গত কয়েক মাসে চারটি অভিযোগ জমা পড়েছে। তবে হেলে পড়া ভবনগুলোর মধ্যে অনেক ভবন মেরামত যোগ্য। অভিজ্ঞ প্রকৌশলী দিয়ে তা আবারও মেরামত করার সুযোগ থাকে। তবে সিডিএ ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ও হেলে পড়া ভবন নিয়ে নতুন করে উদ্যোগ গ্রহণ করছে। হেলে পড়া ভবন নিয়ে সিডিএ আগামীতে কঠোর হবে।
সিডিএ সূত্রে জানা যায়, নগরে ছোট-বড় প্রায় আড়াই লাখ ভবন আছে। এর মধ্যে শতাধিক ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হলেও তা ভাঙার কোনো উদ্যোগ নেই।