জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিশ্বের বিভিন্ন শহরে দিন দিন বাড়ছে বায়ুদূষণ। দীর্ঘদিন ধরে মেগাসিটি ঢাকাও বায়ুদূষণের কবলে। শনিবার (১২ জুলাই) রাতে ঢাকায় বৃষ্টির পরও শহরটির বাতাস সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় রয়েছে।
রবিবার (১৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের তথ্যানুযায়ী ঢাকার বাতাসের মান ছিল ১৪৩, যা সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বলে নির্দেশ করে। এতে বায়ুদূষণে বিশ্বের ১২৫ শহরের মধ্যে 8 নম্বরে আছে ঢাকা।
একই সময়ে ১৮৪ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে চিলির রাজধানী সান্তিয়াগো। এছাড়া ১৭৮ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর শহর, ১৭২ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মিনিয়াপোলিস শহর, ১৬৯ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের রাজধানী কিনশাসা এবং পঞ্চম অবস্থানে থাকা ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তার স্কোর ১৬৫।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে তাকে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ। সে হিসেবে দূষণের মাত্রার দিক থেকে ঢাকার বাতাস গত দুই দিনের মতো আজও খুব অস্বাস্থ্যকর। কিছুটা দূষণ বাড়লেই এটি দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায় পৌঁছে যাবে।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়। এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ