রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) প্রোভিসি, প্রক্টরসহ কর্মকর্তাদের লাঞ্ছিত করার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে ইউনিভার্সিটি টিচার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)। শনিবার ইউট্যাবের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নিন্দা জানানো হয়।
বিবৃতিতে ইউট্যাব জানায়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ ছাত্রদের নামে তথাকথিত সমন্বয়ক শিবির নেতা সালাহউদ্দিন আম্মারের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি অধ্যাপক মাঈনুদ্দীন, প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমানসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। সংগঠনটি এই ঘটনাকে বেআইনী বলে আখ্যায়িত করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রক্টর মাহবুবুর রহমানের ঘড়ি ও প্রায় দশ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া সাধারণ ছাত্রদের ব্যানারে শিবিরের গুপ্ত কর্মীরা প্রোভিসি, রেজিস্ট্রার ও প্রক্টরকে অবরুদ্ধ করে রাখে, যার ফলে প্রশাসনিক কর্তব্য পালনে ব্যাঘাত ঘটে। ইউট্যাব মনে করে, এ ধরনের ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিপূর্ণ ও শিক্ষাগত পরিবেশের জন্য গভীর হুমকি।
নেতৃবৃন্দ বলেন, শিক্ষক, প্রশাসক ও শিক্ষার্থীদের পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও আইনের সীমার মধ্যে থেকেই যে কেউ মতামত প্রকাশ বা আন্দোলন করতে পারে। তবে কখনোই আন্দোলন হিংসা, অবরুদ্ধকরণ বা সম্পত্তি ধ্বংসের দিকে যেতে পারে না।
ইউট্যাবের প্রেসিডেন্ট ও মহাসচিব ঘটনার অবিলম্বে স্বাধীন, নিরপেক্ষ এবং সক্রিয় তদন্ত দাবি করেছেন। তারা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ ও ভবিষ্যতে এমন ঘটনা রোধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে প্রশাসনিক নিরাপত্তা বৃদ্ধি ও প্রয়োজনে পুলিশী নিরাপত্তা জোরদার করার দাবি জানান, যাতে শিক্ষক ও কর্মকর্তারা নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারেন।
নেতৃদ্বয় আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের অধিকার স্বীকৃত হলেও তা অবশ্যই শান্তিপূর্ণ ও আইনি পথে হওয়া উচিত। প্রশাসন ও শিক্ষকরা পরিবেশ তৈরিতে সহযোগিতা করবেন। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা, গবেষণা ও মানসিক বিকাশের স্থান— সেখানে কোনো ব্যক্তি বা সংগঠন ভয় বা হুমকি দেখিয়ে অবৈধভাবে কাজ করাতে পারবে না।
ইউট্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলমান সহিংসতা ও অশান্তি আজই বন্ধ হওয়া জরুরি। ঘটনার দ্রুত ও সুবিচারমূলক নিষ্পত্তি এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে ইউট্যাব দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল