রাজশাহীতে জলবায়ু অর্থায়নে পরামর্শক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজশাহীর একটি হোটেলের হলরুমে অ্যাসোসিয়েশন ফর কম্যুনিটি ডেভেলপমেন্টের (এসিডি) আয়োজনে এবং অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশ’র সহযোগিতায় সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের কর্মকর্তা, নাগরিক সমাজ প্রতিনিধি, গণমাধ্যম প্রতিনিধি ও অংশীজনের অংশগ্রহণে কালটিভেটিং চেঞ্জ প্রকল্পের আওতায় জলবায়ু অর্থায়ন পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসিডি প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর সুব্রত পালের সঞ্চালনায় পরামর্শ সভায় মুখ্য আলোচক হিসেবে তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. চৌধুরী সারওয়ার জাহান।
মুখ্য আলোচক তার উপস্থাপনায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা এবং বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন কৌশলপত্র ও কর্মপরিকল্পনার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনজনিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সূত্র থেকে বাংলাদেশের ন্যায্য প্রাপ্য অর্থপ্রবাহ নিশ্চিত করার উপর জোর দেন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উভয় সূত্র থেকে প্রাপ্ত অর্থব্যয়ে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা তথা সার্বিকভাবে সুশাসন নিশ্চিত করাও সমভাবে অপরিহার্য বলে উল্লেখ করেন।
এসময় উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তারা বলেন, জলবায়ু তহবিল বণ্টন ব্যবস্থাপনা স্বচ্ছ, জবাবদিহিতামূলক ও বিশেষ করে ক্ষতিগ্রস্ত এবং ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীসহ সব স্টেকহোল্ডারকে অংশগ্রহণমূলক সুশাসন নিশ্চিত করা সম্ভব না হলে একদিকে যেমন এ তহবিলের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণ কঠিন হবে, তেমনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সূত্র থেকে অর্থপ্রবাহের সম্ভাবনা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
বক্তারা আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে নারী ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত, সেক্ষেত্রে নারীদের জলবায়ু সংগ্রামের দলিল সংরক্ষণ, নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে সংলাপ এবং লিঙ্গ-সংবেদনশীল আইন ও নীতি তৈরির আহ্বান জানান।
এসিডি’র উপস্থাপনা থেকে জানা যায়, বরেন্দ্র অঞ্চলের বর্তমান সমসাময়িক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় রেখে কৃষি কাজে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, স্থানীয়ভাবে পরিচালিত অভিযোজনের সক্ষমতা, জলবায়ু অর্থায়নে প্রবেশাধিকার বিষয়ে আদিবাসী নারীদের সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকেশলী মো. মুক্তাদির রহমান, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এটিএম গোলাম মাহবুব, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শবনম শিরিন, রাজশাহী দুগ্ধ উন্নয়ন খামারের উপ-পরিচালক ড. ইসমাইল হক, বিএডিসি উপ-পরিচালক কেএম গোলাম সারওয়ার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন, ফল গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. শফিকুল ইসলাম, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাই সরকার, মেট্রোপলিটান কৃষি কর্মকর্তা পাপিয়া রহমান মৌরি, রাজশাহী বেতারের সহকারী পরিচালক অভিজিত সরকার।
বিডি প্রতিদিন/এমআই