সিলেটের বিশ্বনাথে প্রতি বছরের মতো এবারও বসেছে কোরবানির মাংসের ভাসমান হাট। পৌরশহরের বাসিয়া ব্রিজের মুখে দুপুর থেকে বসে এ হাট। এলাকার নিম্নআয়ের মানুষের ভরসা এ হাট। তবে মৌসুমী ব্যবসায়ী ও হোটেল মালিকরাও মাংস কেনেন এখান থেকে। হাটের বিক্রেতা কেউ কসাই বা ব্যবসায়ী নন।
সমাজের নিম্নআয়ের লোকজন গ্রামে থেকে গ্রামে ছুটে মাংস সংগ্রহ করেন। অল্প কিছু রেখে অর্থের প্রয়োজনে বিক্রি করে দেন অবশিষ্টগুলো। এ হাটের ক্রেতারাও স্বল্প আয়ের মানুষ। যাদের সামর্থ্য নেই কোরবানির। আছেন অস্থায়ী বসবাসকারী লোকজনও।
সরেজমিন দেখা যায়, মধ্য ব্রিজ থেকে ব্রিজের ঢালু পর্যন্ত মাংসের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। মাংস, হাড্ডি মাংস, কাটা মাথা, পা, নাড়িভুঁড়িসহ সবই আছে এ হাটে। হাটজুড়ে মানুষের জটলা। চড়া মাংসের দামও। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে হাজার টাকায়। কেউ আবার ব্যাগ চুক্তিতেও কিনছেন। মাংস বিকি-কিনিতে বেজায় উৎফুল্ল দেখা যায় ক্রেতা-বিক্রেতাদের।
বিক্রেতা কিশোর ফাহিম জানান, তিনি নাড়িভুঁড়িসহ প্রায় ১০ কেজি মাংস বিক্রির জন্য এনেছেন। এগুলো বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করেছেন। টানাটানির সংসারে একটু বাড়তি আয়ের আশায় তার এ চেষ্টা।
বিক্রেতা সুলেমান মিয়া বলেন, প্রতি ঈদে মাংস বিক্রি করে কিছু টাকা পাই, এটাই আমাদের ঈদের খুশি। কষ্ট করে অল্প অল্প সংগ্রহ করি। এবার সাড়ে ৬ কেজির মতো মাংস এনেছি। আশা করছি ৬ হাজার টাকায় বিক্রি করতে পারবো।
বিক্রেতারা জানান, কোরবানির মাংসের স্বাদ বেশি। কিন্তু কোরবানির সামর্থ্য নেই। ভাসমান হাটে চাহিদা মতো মাংস পাওয়া যায়। তাই এ হাটই আমাদের ভরসা।
বিডি প্রতিদিন/এমআই