বাংলাদেশের তৈরি পোশাক ও টেক্সটাইল খাত জাতীয় অর্থনীতিতে বিশাল ভূমিকা রাখছে। এ শিল্পের টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন দক্ষ ও প্রযুক্তিভিত্তিক মানবসম্পদ। এ প্রেক্ষাপটে প্রতিষ্ঠিত বিইউএফটি একমাত্র বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় যা বিশেষভাবে টেক্সটাইল, ফ্যাশন, বিজনেস ও প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষায় নিবেদিত। ১৯৯৯ সালে বিজিএমইএ ইনস্টিটিউট অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি (বিআইএফটি) হিসেবে যাত্রা শুরু করে বিইউএফটি এবং ২০১২ সালে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃতি পায়। প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই এর লক্ষ্য ছিল টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল খাতে আন্তর্জাতিকমানের পেশাজীবী তৈরি করা।
বিইউএফটি শিল্পের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ১৩টির বেশি স্নাতক ও স্নাতকোত্তর প্রোগ্রাম অফার করে। এর মধ্যে রয়েছে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, ফ্যাশন ডিজাইন, নিটওয়্যার, অ্যাপারেল ম্যানুফ্যাকচারিং, মার্চেন্ডাইজিং, পরিবেশ বিজ্ঞান, ইংরেজি ও বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। সংক্ষিপ্ত মেয়াদি পেশাদার কোর্সও রয়েছে, যা চাকরির বাজারে শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতামূলক করে তোলে।
ঢাকার উত্তরায় ছয় একরের আধুনিক স্থায়ী ক্যাম্পাসে রয়েছে ৭২টি মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, ৫৩টি ল্যাব, ক্যাড স্টুডিও, ফ্যাশন প্রোডাকশন স্টুডিও, সুইমিং পুল, স্পোর্টস ফ্যাসিলিটি এবং সম্পূর্ণ ওয়াইফাই ক্যাম্পাস। এর ফলে শিক্ষার্থীরা হাতেকলমে জ্ঞান অর্জন করতে পারে। বিইউএফটি শিল্পের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত। শিক্ষার্থীরা ইন্ডাস্ট্রি ভিজিট, ইন্টার্নশিপ, প্র্যাকটিক্যাল প্রজেক্ট ও সেমিনারের মাধ্যমে বাস্তব জ্ঞান অর্জন করে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক অংশীদারির মাধ্যমে উচ্চশিক্ষা ও স্কলারশিপের সুযোগও রয়েছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এমওইউ রয়েছে। বিইউএফটি আইএফএইচটিটিআই, টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট (ইউকে), এসিইউর সদস্য। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রকল্প যেমন স্মার্ট ২০২০, নুফিক, নিচে অংশগ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয়টি গবেষণায় সক্রিয় ভূমিকা রাখে। বিইউএফটিতে রয়েছে ২২টি স্টুডেন্ট ক্লাব, যা নেতৃত্ব, সৃজনশীলতা ও ব্যক্তিত্ব গঠনে সহায়তা করে। ক্লাবগুলো সাংস্কৃতিক, প্রযুক্তি, বিতর্ক, ভাষা, সামাজিক কাজ ও পেশাগত উন্নয়নের নানা দিক নিয়ে কাজ করে।
বিইউএফটি শিক্ষার্থীদের জন্য মুক্তিযোদ্ধা কোটা, মেধা ও প্রয়োজনভিত্তিক ১৬ ধরনের স্কলারশিপ ও ফি ছাড় প্রদান করে। এটি সমাজের বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করে। বিইউএফটি একটি বিশেষায়িত ইউনিভার্সিটি হওয়ায় শিক্ষার্থীরা স্নাতক শেষ করার আগেই কর্মজীবনের জন্য প্রস্তুত হয়ে ওঠে। এখানকার সব স্নাতক শিক্ষার্থী স্নাতক সম্পন্ন করার ছয় মাসের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে নিয়োগ পাচ্ছে। যা এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার গুণগত মান ও শিল্পভিত্তিক পাঠ্যক্রমের সাফল্যের প্রমাণ।
এ সাফল্য শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক দক্ষতা এবং বাজারের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রশিক্ষণের ফল। আমাদের শিক্ষার্থীরা এইচঅ্যান্ডএম, জারা, এমঅ্যান্ডএস, ওয়ালমার্টের মতো আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন। অনেকেই সফল উদ্যোক্তা হিসেবে নিজস্ব ব্র্যান্ড তৈরি করেছেন। বিইউএফটি শুধু একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, বরং বাংলাদেশের টেক্সটাইল, ফ্যাশন ও অ্যাপারেলস খাতের উন্নয়নের জন্য একটি কৌশলগত শক্তি। যারা এ খাতে ক্যারিয়ার গড়তে চান, তাদের জন্য বিইউএফটি একটি সঠিক ও সময়োপযোগী পছন্দ।