রংপুরে কোরবানির পশুর হাটে বেচাকেনা জমে উঠতে শুরু করেছে। এ সপ্তাহের শুরুতে নগরীর সবচেয়ে বড় পশুর হাট লালবাগে গরু ও ক্রেতার সংখ্যা কম বর্তমানে ক্রেতা-বিক্রেতার সংখ্যা বাড়ছে। বাজারে সব ধরনের গরু থাকলেও ছোট সাইজের গরুর চাহিদা সবচেয়ে বেশি। কারো কারো মতে গত বছরের চেয়ে দাম কিছুটা কম। আবার কারো মতে দাম এবার বেশি।
হাটে গিয়ে দেখা গেছে, ছোট সাইজের গরু ৬০ থেকে ৮০ হাজার টাকা দাম হাঁকাচ্ছেন বিক্রেতারা। মাঝারি সাইজের গরু দেড় থেকে দুই লাখ টাকা, আর বড় গরুর দাম চাওয়া হচ্ছে চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা।
বুধবার লালবাগ হাটে আমিনুল দুটি গরু নিয়ে এসেছেন। দপুর ১টার দিকে তিনি একটি গরু বিক্রি করেছেন ৯০ হাজার টাকায়। তার অন্য দুটি গরু বড় সাইজের। দরদাম করে চলে যাচ্ছেন ক্রেতারা। এই হাটে তার সব গরুই বিক্রি হবে বলে প্রত্যাশা করছেন তিনি।
আমিনুল ইসলামের দাবি, গত বছরের চেয়ে এবার তুলনামূলকভাবে দাম কিছুটা কম।
এদিকে, গত বছরের চেয়ে এবার গরুর দাম বেশি বলে মনে করছেন ক্রেতারা। কাউনিয়া উপজেলার রফিকুল চৌধুরী বলেন, গত হাটের চেয়ে এই হাটে গরুর দাম বেশি। দরদামে না বনলে শুক্রবার খানসামা হাট থেকে গরু কিনব।
নগরীর রবাটসনগঞ্জ এলাকার খামারি শফি মিয়া বলেন, গো-খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় এবার লাভ নাও হতে পারে। তবে আশা করছি গরু ভালো দামেই বিক্রি হবে।
রংপুর প্রাণীসম্পদ অধিদফতর বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এবারের ঈদুল আজহায় রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় ১৪ লাখ ১২ হাজারের বেশি কোরবানির পশুর চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে। এবার ১৯ লাখ ৮০ হাজার ৩৯০টি গরু, মহিষ, ছাগল, উট, দুম্বা, ভেড়াসহ কোরবানির প্রাণী প্রস্তুত করেছেন বিভাগের ১ লাখ ৯৭ হাজার ৪১৪ জন ছোট-বড় খামামি ও গৃহস্থরা। এই বিভাগের ৮ জেলায় মোট চাহিদার চেয়ে প্রায় ৫ লাখ ৬৮ হাজার পশু বেশি রয়েছে।
আরও জানা গেছে, কোরবানির উদ্দেশ্যে ৮ লাখের মত গরু বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছেন প্রায় আড়াই লাখ খামারি। এছাড়া দুই লাখের বেশি গৃহস্থ প্রায় ১০ লাখ গরু-খাসি প্রস্তুত করেছেন। রংপুর জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ২৪ হাজার ৭৫২টি। আর প্রস্তুত করা হয়েছে ৩ লাখ ৬৩ হাজার ৩১২টি। এই জেলায় চাহিদার চেয়ে উদ্বৃত্ত রয়েছে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৫৬১টি। একইভাবে বিভাগের অন্যান্য জেলায় চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত থাকবে কোরবানির পশু।
বিডি প্রতিদিন/কেএ