বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) নির্বাচন ঘিরে ইশতেহার ঘোষণা করেছে পোশাক মালিকদের নির্বাচনী প্ল্যাটফর্ম সম্মিলিত পরিষদ। এ সময় তারা ১২ দফা কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ করে।
বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে এ ইশতেহার ঘোষণা করেন সম্মিলিত পরিষদের প্যানেল লিডার মো. আবুল কালাম।
ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানের শুরুতে বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি ও সম্মিলিত পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক ফারুক হাসান পোশাক শিল্পে তাদের নেতৃত্বে আগের সাফল্যগুলো তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে অর্থনীতিবিদ হাসনাত আলম একটি প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তৈরি পোশাক শিল্পের বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার চিত্র তুলে ধরেন।
সম্মিলিত পরিষদের সভাপতি ও বিজিএমইএ সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান পোশাক শিল্পের নানা চ্যালেঞ্জ নিয়ে বক্তব্য রাখেন। এসময় সম্মিলিত পরিষদের নির্বাচনী প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
সম্মিলিত পরিষদের প্যানেল লিডার মো. আবুল কালাম বলেন, তৈরি পোশাক শিল্পের সামনে ১০০ বিলিয়ন ডলারের রফতানি লক্ষ্যে পৌঁছাতে প্রয়োজন সময়োপযোগী নেতৃত্ব, অভিজ্ঞতা, সাহস ও তারুণ্যের সমন্বয়ে শ্রমিক, উদ্যোক্তা ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। বর্তমানে একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে বৈশ্বিক অর্থনীতি ও রাজনীতি। আমাদের শিল্প এলডিসি গ্রাজুয়েশন, জ্বালানি নিরাপত্তাসহ হাজারো চ্যলেঞ্জের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে। তাই এসব সমস্যা সমাধানে সম্মিলিত পরিষদ ১২ দফা কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ করেছে।
১২ দফা ইশতিহারগুলো হলো- এসএমই সহায়তা সেল ও নীতিগত সহায়তা, বিদ্যুৎ-জ্বালানি নিরাপত্তা ও বিকল্প প্রণোদনা, শিল্প ৪.০ এর জন্য তৈরি তৈরি পোশাক খাতের কর্মীবাহিনী, অর্থায়ন সহজীকরণ, বাজার ও পণ্যের বৈচিত্র্যকরণ, বিকল্প প্রণোদনা নীতি, বাণিজ্য সহায়তা ও এনবিআর সংস্কার, রফতানি সহায়তা ওয়ান-স্টপ সাপোর্ট সেল, সামাজিক নীতিপালন উন্নয়ন কর্মসূচি, পরিবেশবান্ধব শিল্পায়নের সবুজ রূপান্তর, মেড ইন বাংলাদেশ প্রিমিয়াম এডিশন চালু করা, অ্যাপারেল ডিপ্লোম্যাসি ও দায়িত্বশীল এক্সিট পলিসি।
বিডি প্রতিদিন/একেএ